কলকাতা: অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধা স্কুলশিক্ষিকার বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা দাবি স্কুল পরিদর্শকের। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ ৮৫ বছরের বৃদ্ধা শিউলি সাহা। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধা। বিচারপতি বলেন, আপনাকে কারও সঙ্গে দেখা করতে হবে না। কাউকে ঘুষ দিতে হবে না। আদালত আপনার পাশে আছে। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৮ অগাস্ট অভিযুক্ত উলুবেড়িয়ার অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শক বনমালী হাজরাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
আদালত সূত্রের খবর, মামলাকারী শিউলি সাহা হাওড়ার শ্যামপুর হাইস্কুলে চাকরি করতেন। অল্প কিছুদিন পর তাঁকে কোনও কারণ না দেখিয়েই স্কুলে আসতে বারণ করা হয়। আদালতের নির্দেশ থাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কাজ করতে দেননি। পরবর্তীকালে অবসর নেওয়ার পর তাঁকে সমস্ত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তিনি মামলা করেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিউলি সাহার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তাঁর অভিযোগ, এরপর থেকে বারবার ওই পরিদর্শক তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছেন। ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করছেন।
এদিন আদালতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই প্রবীণ শিক্ষিকা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, কারও সঙ্গে আপনাকে দেখা করতে হবে না। আদালত পাশে আছে। তাঁর নির্দেশ, অবিলম্বে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে তাঁকে। ওই পরিদর্শককে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন শিউলি সাহার বকেয়া আটকে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে ১৮ অগাস্ট আদালতে হাজির হতেও বলা হয়েছে।