কলকাতা: ভাঙড়, ক্যানিং সহ বিভিন্ন এলাকায় পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে অশান্তি নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে পুলিশকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ওইসব এলাকায় বিরোধী প্রার্থীরা কেন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তার বিস্তারিত হলফনামার মাধ্যমে পুলিশকে জানাতে বলেছে আদালত। রিপোর্ট পেশের তিনদিনের মধ্যে মামলাকারীরা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। মামলার পরবর্তী শুনানি দু’সপ্তাহ পর। একইসঙ্গে ক্যানিংয়ে এক বিরোধী সমর্থকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ও সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে এই মামলায়। এ ব্যাপারে ওইসব থানার ওসিদেরও সতর্ক করে দিয়েছে আদালত।
এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালত রাজ্যের উদ্দেশে বলে, ভাঙড়, কাশীপুর, হাড়োয়া, বসিরহাটে কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও নিরাপত্তা দিয়ে আবেদনকারীদের মনোনয়ন পেশের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। আদালত আরও বলে, এই অবস্থায় জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি, গোলাগুলির অভিযোগ আসছে, তাহলে পুলিশ কী করছিল? পাশপাশি পুলিশকে হাইকোর্টের নির্দেশ, ১৫ ও ১৬ জুনের নির্দেশ পালনের ক্ষেত্রে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, তা জানাতে হবে। নিরাপত্তার জন্য ক্যানিং, মিনাখাঁ, ভাঙড়, ন্যাজাট, জীবনতলা এলাকায় মনোনয়নের জন্য কত পরিমাণ পুলিশ কোথায় দেওয়া হয়েছিল, কতজন গ্রেফতার হয়েছে ওই গোলমালের আগে ও পরে, সেসবও জানাতে বলা হয়েছে। একঈসঙ্গে সব থানা এলাকা ও বিডিও অফিসের ১৪ থেকে ১৬ জুনের সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে আদালতে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | SC | কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই পঞ্চায়েত ভোট , নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, কোনও আবেদনকারী মনোনয়ন জমা দেননি। নির্দিষ্ট করে কেউ হেনস্থারও অভিযোগও করেননি। রাজ্যের দাবি, ১৩ জুন ৯৩ জন মনোনয়ন জমা দেন ভঙড়ে। ১৪ জুন সেখানে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁরা আগে প্রমাণ দিন যে তাঁরা শান্তি চান। তৃণমূলের ২ জন ও আইএসএফের একজন মারা গিয়েছে। এখানে তাঁদের ঢোকা উচিত কি না সেটা আদালত বিবেচনা করুক।
এর প্রেক্ষিতে আদালত বলে, পুলিশ কী করছিল? রাজ্য জানায়, পুলিশ মনোনয়ন জমা দেখবে, অন্য সমস্যা দেখবে, নাকি নিরাপত্তা দেবে। একের পর এক হাইকোর্ট লোককে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরে বিডিও অফিসে বিরাট গন্ডগোল, ভাঙচুর চলে। এরপর বিচারপতি বলেন, এত গোলমালের সিসিটিভি ফুটেজ আছে? এখানে আপনি যা বলছেন, হলফনামায় তার যেন উল্লেখ থাকে। পুলিশের বক্তব্য শুনতে চাই। কটা এফআইআর হয়েছে?