সিউড়ি: পুলিশ প্রশাসন আর আমাদের সঙ্গে নেই। আগে কথা শুনতো। এখন আর কথা শোনে না। পুলিশ প্রশাসন যদি আমাদের সঙ্গে থাকে বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্র আমরা লক্ষাধিক ভোটে জিতব। জেলার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর প্রতি অনুরোধ বিষয়টি দেখার জন্য। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের অবস্থা রেডিওর মতো। এখন আর বাড়িতে দেখা যায় না। দুমাস পর এরকম অবস্থা হবে বলে কটাক্ষ বিজেপির।
১০ মার্চ কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগর্জন সভা। সেই সভাকে সামনে রেখে এদিন বীরভূমের সিউড়িতে রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত বিতর্কিত মন্তব্য করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জানি না প্রশাসনের ভূমিকা এখন থেকে কি শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে যারা বসে আছেন আমাদের উল্টো কাজ করছেন। দল যেখানে বলছে এই কেসটা একটু দেখতে হবে, প্রশাসনের তরফ থেকে বিরোধিতা আসছে। যে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে প্রশাসনের যে সহযোগিতা আমরা পেতাম সেটা আর পাচ্ছি না। এসডিও হোক বিডিও হোক বা পুলিশের লোক হোক। প্রতিমুহূর্তে পিছন দিকে টেনে ধরার একটা প্রচেষ্টা চলছে। আমার উচ্চ নেতৃত্ব আছেন। সর্বোপরি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি আসছেন। তাঁকে অনুরোধ করব বিষয়টি দেখার জন্য। যাতে প্রশাসন সহযোগিতা করে। এটা যদি হয় তাহলে বীরভূমে দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লক্ষাধিক ভোটে আমরা জয়লাভ করব।
বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বীরভূমের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দীপক ঘোষ বলেন, তৃণমূল আগে যে সমস্ত নির্বাচন পার করেছে সবই প্রশাসনের সহযোগিতায়। পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা বা লোকসভা। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক। দেখবেন তৃণমূলকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন আর কারও বাড়িতে রেডিও থাকে না। তৃণমূলের সেই অবস্থাই হবে।