ঝাড়গ্রাম: জেলাশাসকের অফিসে তালা লাগল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল।
সোমবার সকাল থেকেই চলছিল ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। দফায় দফায় আন্দোলনের রেশ বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর অফিসের মূল গেটের তালা ভেঙে জেলাশাসক অফিস কার্যালয়ের ভিতরে ঢোকে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। জেলাশাসকের অফিসের মূল গেটে তালা লাগলো ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। এই আন্দোলনের মাঝে এখনো পর্যন্ত অফিসেই আটকে জেলাশাসক।
আরও পড়ুন: Piyali Basak | অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করে নতুন পালক পিয়ালির মুকুটে
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সোমবার সকাল থেকে আদিবাসী (Adivasi) সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধ শুরু হল। সকাল থেকে আরসা থানার কাটাডি মোড়ে পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। দক্ষিন দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের দন্ডি খাটানোর প্রতিবাদে, সাঁওতালি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো গঠন, কুড়মি সাম্প্রদায়কে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা সহ মোট ৫ দফা দাবিতে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকা হয়েছে।
বালুরঘাট হিলি মোড়ে চলছে বনধ সমর্থকদের পিকেটিং। অবিলম্বে দণ্ডি কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, “আমাদের এই বনধের ঘোষণা আগেই করা হয়েছে। বুঝতে পারছি সাধারণ মানুষদের অসুবিধে হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমাদেরও কিছু নির্দিষ্ট দাবি দাওয়া আছে। আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো হলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হননি। মূল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের অন্যান্য দাবিগুলি অবিলম্বে মানতে হবে, নাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিকে আসানসোলের বিএনআর মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করার পর ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পথ অবরোধ তুলে দেয়