আরামবাগ: একাধিক ভুয়ো কোম্পানির নাম করে জাল প্রতারণা চক্রের এক পাণ্ডা সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল গোঘাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোঘাটের শ্যামবল্লভপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, এই চক্রের মূল পাণ্ডা ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সৃষ্টিধর মাইতি। তার বাড়িতে রীতিমতো অফিস খুলে এই প্রতারনা চক্র চালানো হচ্ছিল। তার বাড়ি থেকে ভারত সরকারের স্ট্যাম্প দেওয়া দুটি গাড়ি ছাড়াও আরবিআইয়ের লোগো, অশোকচক্র সহ বিভিন্ন কোম্পানির নামে জাল নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাচীন মুদ্রা ও ভেষজ সম্পদের কোম্পানির নাম করে তারা এই প্রতারণা চক্র চালাতো। পাশাপাশি তারা নাকি দুষ্প্রাপ্য জিনিস পাচারেরও কাজ করতো। আর সেই কাজেই ওই সমস্ত সরকারি ভুয়ো নথি ব্যবহার করতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে শুক্রবার আরামবাগ মহাকুমা আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত সৃষ্টিধর মাইতিকে ১১ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। অপরদিকে ধৃত বাকি ৮ জনকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বেশিরভাগেরই বাড়ি গোঘাটের বালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বাকিদের বাড়ি চন্দ্রকোনা, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল ইত্যাদি এলাকায়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তৃণমূলের
যদিও আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা ক্যামেরার সামনে কেউই মুখ খোলেননি। অভিযুক্তদের বাড়ির লোকজন কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ও কিছুই জানা নেই বলে জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে গ্রামের ভিতর যদি এইরকম একটি চক্র চলে মানুষজন প্রতারিত হয় তাহলে দায় কার? যদিও এই নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: