সন্দেশখালি: সন্দেশখালি কাণ্ডে তাদের ভূমিকা নিয়ে বিরোধী নেতাদের কারও কারও মন্তব্যে ক্ষুব্ধ পুলিশকর্তারা। বৃহস্পতিবার শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর মিনাখাঁয় সাংবাদিক বৈঠকে দক্ষিণবঙ্গের এডিজি সুপ্রতিম সরকার বলেন, বিরোধী দলের কোনও কোনও নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ করছেন, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত পীড়াদায়ক। বিরোধী নেতারা এমন কিছু না করলেই ভালো হয়। বিরোধী নেতা এবং মিডিয়ার উদ্দেশে পুলিশকর্তার আর্জি, এমন কিছু করবেন না, যাতে এলাকায় বিভেদ সৃষ্টি হয়।
সু্প্রতিম এদিন শাহজাহান কাণ্ডে সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমে লাগাতার বলা হয়েছে, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে শাহজাহানকে গ্রেফতার করছে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এটা ঠিক নয়। এটা ভুল। এটা অপপ্রচার। আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা ছিল। দিন দুয়েক আগে উচ্চ আদালত স্পষ্ট করে বলে দেয়, গ্রেফতারির উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। তখন আমরা জোরকদমে তল্লাশি শুরু করি। গতরাতে মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: আদালতের তোপের মুখে শাহজাহানের আইনজীবী
এদিকে আদালতের তোপের মুখে পড়ার পর সু্প্রতিম স্বীকার করে নেন, সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের গ্রেফতারির প্রক্রিয়ায় কিছু পদ্ধতিগত ভুল ছিল। সেই ভুল অনিচ্ছাকৃত। পরে আদালতে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, পুলিশের নথিতে বলা হয়, নিরাপদর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। আর অভিযোগ দায়ের হয় তার পরের দিন, ১৯ ফেব্রুয়ারি। তা নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্ন তোলেন নিরাপদর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। বিচারপতি দেবাংশু বসাকও এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেন। ১ মার্চ পুলিশকে তিনি এ নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন।
এদিন সুপ্রতিম বলেন, তারিখ লিখতে ভুল হয়েছিল। সেই ভুল অনিচ্ছাকৃত। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০মিনিটে। যে অফিসার অভিযোগ করেন, তিনি সন্দেশখালি থানায় ছিলেন। নিরাপদর আইনজীবী এবং সিপিএমের অভিযোগ, ওই অফিসার সন্দেশখালি থানার লোকই নন।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে নিরাপদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সাজানো মামলা করেছে পুলিশ, তা আদালতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। আসলে সাজানো মামলা করলে তো পুলিশের এমন ভুল হবে। সেটাই স্বাভাবিক।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: