হুগলি: জল খেতে গেলে লাগতে পারে টাকা, এমনই আতঙ্কে ভুগছেন হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের (Konnagar) মানুষজন। আতঙ্কে ভোগার কারনও আছে যথেষ্ট। বাড়ির কলের মাথায় বসেছে মিটার। এবার থেকে জল ব্যবহার করতে হবে মেপে ঝুপে। কারণ মিটার রেটিং অনুযায়ী যেই ভাবে আসে বিদ্যুতের বিল ঠিক সেই ভাবে আসতে চলেছে জলেরও বিল (Water Bill)।
হুগলির বিভিন্ন পুর (Hooghly Municipality) এলাকায় বসেছে জলের কলে মিটার। সেই মোতাবেক হুগলির কোন্নগর পুরসভায় (Konnagar Municipality) বসছে প্রায় ৬০০০ জলের কলের মিটার। তার জন্য দেওয়া হয়েছে নতুন পাইপ লাইন। তবে নতুন মিটার সমেত কল বসানোর জন্য সরকারের তরফ থেকে কোনরকম টাকা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মিটার বসা মানে আগামীতে যে জলের জন্য টাকা দিতে হবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় এলাকার মানুষজন।
এই বিষয়ে এলাকার এক গৃহিণী কলকাতা টিভির প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, প্রতিদিন নিত্যদিনের কাজের জন্য তাদের জলের প্রয়োজন। সেখানে যে জল খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় সেই জল দিয়ে অন্যান্য কাজ করতে হয়। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে বিদ্যুতের বিল ও অন্যান্য বিল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সেখানে পানীয় জলের জন্য যদি এবার কর দিতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও কঠিন হবে। এলাকার আরও একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা আছে। সরকারে আসার পর তৃণমূল সরকার সমস্ত জলকর মুকুব করেছিলেন। সেখানে যদি আবারও জলকর চালু হয় তাহলে তিনি আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াবেন।
আরও পড়ুন: ডিএল এড পরীক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ
জলকর বিষয়ে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৬০০০ কলের মিটার বসানোর নির্দেশ এসেছে। সেই মোতাবেক তারা মিটার বসাচ্ছেন। তাঁর ধারণা যখন মিটার বসানো হচ্ছে তখন তার পিছনে নিশ্চয়ই কোন অভিসন্ধি রয়েছে। অমৃত তিন প্রকল্প চালু হতে না হতেই মিটার থেকে টাকা নেওয়ার ব্যবস্থাপনাও চালু হবে। তবে ২০১১ সালের পর থেকে এই জলকর মুকুব করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের নির্দেশে আবারও একই পথে হাঁটতে চলেছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী যদি তাদেরকে একবার নির্দেশ দেন তাহলে তারা এই মিটার লাগানো জলের বিপক্ষে দাঁড়াতে শুরু করবেন।
আরও অন্য খবর দেখুন