কলকাতা: দুপুর ৩টে বেজে গিয়েছে। ফল অনেকটাই স্পষ্ট। বাংলায় তৃণমূল শুধু ২০টির বেশি নয়, এগিয়ে রয়েছে ৩০টি বেশি আসনে। অন্যদিকে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ১০টি আসনে। ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। তবে এখও পর্যন্ত খাতাই খুলতে পারেনি বামেরা। বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষাকে পিছনে ফেলে জয়ের পথে তৃণমূল। সে ব্যাপারে আর তেমন সন্দেহ নেই।
মঙ্গলবার সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হতেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বসেছে বিশেষ বৈঠক।সেখানে পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এর পরবর্তী কী পদক্ষেপ হবে, তা নিয়ে বৈঠক চলবে। মমতা-অভিষেক জুটিতে কার্যত ধরাশায়ী বিজেপি। রাজ্যে লোকসভা ভোটে মমতা-অভিষেক ম্যাজিকেরই রমরমা। অন্তত এখনই পর্যন্ত সেই ট্রেন্ডই দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বিজেপির বাংলার প্রতি বঞ্চনা, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়া এইসব ইস্যুকে হাতিয়ার করেই অনেকটাই এগিয়েছে তৃণমূল।
এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপরে বেশি ভরসা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলার ভোটে শুভেন্দুর মতামতকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। শুধু প্রার্থীবাছাই নয়, প্রচারেও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু। অনেক পরিশ্রম করেও দিনের শেষে হাসি নেই তাঁর মুখে। গোটা দেশে যেভাবে বিজেপি আসন ক্ষয় হয়েছে তাতে বাংলাতেও বড় ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই ধাক্কার পরে বিজেপিতে শুভেন্দুর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২১ এর পর ২৪-এও বাংলায় মমতা-অভিষেকের উপরই ভরসা রাখল জনগণ। আসন্ন ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজের পায়ের তলার মাটি কতটা শক্ত করতে পারে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে ২০১৪-র পর ২০২৪-এ ফের অভিষেকের উপর ভরসা করে ৩০-এর গণ্ডি পার করল তৃণমূল।