কোচবিহার: পঞ্চায়েতের গণনা (Panchayat Counting) মিটলেও রাজ্যে দিকে দিকে হিংসা অব্যাহত। ভোট হিংসায় কোচবিহারে বলি আরও ২। এই নিয়ে গত ৩৬ দিনে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন তুফানগঞ্জের (Tufanganj) শালবাড়িতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জখম হয়েছিল ৩ বিজেপি কর্মী। তাদের মধ্যে গুরুতর জখম জয়ন্ত বর্মনের আজ কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Cooch Behar Government Medical College & Hospital) মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
নিহত জয়ন্ত বর্মনের পরিবারের দাবি, তৃণমূল না করলে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে, ভোটের আগের দিন তাঁদের বাড়িতে এসে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।জয়ন্তকে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন । পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার বিকেলে মধ্য শীতলকুচি গ্রামের ৫/২২৩ নম্বর বুথে বিজেপির দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। বোমাবাজিতে জখম তৃণমুল কর্মী লতিফ মিয়ার মৃত্যু হল। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে। তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিযোগ করে। তা অস্বীকার করে বিজেপি।
আরও পড়ুন: North Benagal | Flood | জলপাইগুড়িতে টানা বৃষ্টিতে বন্যার ভ্রুকুটি, প্লাবিত অনেক এলাকা
মনোনয়ন পর্ব থেকে রাজ্যের জেলায় জেলায় অশান্তি ছড়িয়েছিল। শনিবার ভোটের দিনও বোমাবাড়ি, ভোট লুঠ, ছাপ্পা, মৃত্যু কোনও কিছুই বাদ যায়নি। পঞ্চায়েত ভোটের দিন কোচবিহারের দিনহাটা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ উঠেছে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কোচবিহার জেলাতেই ভোটের দিনে অন্তত ৩টি মৃত্যু হয়েছে। ভোটগণনার পরও সন্ত্রাস অব্যাহত সেখানের নানা জায়গায়। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই তাঁদের শতাধিক কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া। তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের গোপালের কুঠি এলাকার এক প্রার্থীসহ অনেকেই সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছেন অসমে। প্রায় ৩৫০ জন অসমে এখন আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলের নেতারা।