Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | পরধান সেবক মোদিজী ভয় পেয়েছেন

Fourth Pillar | পরধান সেবক মোদিজী ভয় পেয়েছেন

এরপর ইতিহাস গড়িয়েছে নিজের গতিতে, রাজছত্র ভেঙে পড়ে, রণডঙ্কা শব্দ নাহি তোলে, রাজারা মিউজিয়ামে চলে গ্যালো, এলো গণতন্ত্র, আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে

Follow Us :

অক্টোবর মাসের শেষদিনেই সাত সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন বিরোধী নেতা, হ্যাঁ মাথায় রাখুন শাসক দলের একজনও নয়, বেশ কিছু বিরোধী নেতা এবং শিরদাঁড়া সোজা আছে এমন সাংবাদিকেরা তাঁদের আই ফোনে এক মেসেজ পেলেন। যে মেসেজের বাংলা অনুবাদ হল, আপনার ফোনে রাষ্ট্র নিয়োজিত নজরদারী চলছে বলেই আমাদের ধারণা, সে ধরনের নজরদারী চললে আপনার যাবতীয় গোপন তথ্য সেই নজরদারদের কাছে চলে যেতে পারে। আমাদের সার্ভেলেন্স এই তথ্যটুকুই দিতে পারছে যে আপনাদের গোপন তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। কাদের কাছে গেল এই মেসেজ? যাঁরা আই ফোন ব্যবহার করেন। আপাতত যে সব মোবাইল প্ল্যাটফর্ম আছে, অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ভারসন, বা আইফোন ইত্যাদি, তাদের মধ্যে আই ফোনই নাকি সেই রকম এক ব্যবস্থা যা হ্যাকারদের পক্ষে হ্যাক করা সম্ভব নয়। সেই আই ফোন কর্তারা মেসেজ পাঠাচ্ছেন যে আপনাদের ফোন হ্যাক করার চেষ্টা চলছে। এর থেকে একটা কথা তো পরিস্কার যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সুরক্ষা কবচ নিশ্চই ভাঙা হয়েছে, যাঁরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তাঁরা বুঝতেও পারেন নি, তাঁদের জানানোও হয় নি। সমস্যা হয়েছে আই ফোনের ক্ষেত্রে, ধরা পড়ে গেছে রাষ্ট্র, ধরা পড়ে গেছে নজরদারি ব্যবস্থা। কাদের ফোনে নজরদারি করার চেষ্টা চলছিল? রাহুল গান্ধী, কে সি ভেনুগোপাল, শশী থারুর, পবন খেরা, অখিলেশ যাদব, মহুয়া মৈত্র, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, রাঘব চড্ডা, সীতারাম ইয়েচুরি ইত্যাদি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সিদ্ধার্থ বরদারাজনের মত কিছু একরোখা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন তাঁরা আই ফোনের তরফে এই মেসেজ পেয়েছেন। এবং গুরুত্বপূর্ণ হল এই নজরদারি যে কেবল এই ভারতবর্ষের বিরোধী রাজনৈতিক দল, সয়াজকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপরেই চলছে তাও নয়, পৃথিবীর আরও কিছু দেশে এই নজরদারি চলছে, উগান্ডার কিছু বিরোধী নেতা, রাশিয়ার কিছু সাংবাদিক ইত্যাদিও এরকম মেসেজ পেয়েছেন। দেশ গুলোর মধ্যে কমন ফ্যাক্টর হল এইসব দেশে স্বৈরাচারী শাসন বা প্রায় স্বৈরাচারী শাসন চলছে। অ্যাপেল কর্তৃপক্ষ নিজেরাই জানান নি, কিন্তু অসমর্থিত সূত্র বলছে এটাও পেগাসাসের মতই আরও আধুনিক কোনও সফটওয়ার যা নাকি বিভিন্ন দেশের বিরোধী নেতা বা সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, আই ফোন এ ধরণের হ্যাকিং আটকানোর জন্য গত তিন বছর ধরে আলাদা ভাবে এক নজরদারি চালাচ্ছিল, তারা প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পেরেই এই সব আই ফোন ব্যবহারকারীদের সাবধান করেছে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেয় নি। আই ফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে তাঁরা এর থেকেও বেশি তথ্য দিলে যারা এই নজরদারি চালাচ্ছে তারা আমাদের নজরদারি ব্যবস্থার খুটিনাটি জেনে যাবে। তো মোদ্দা কথা হল রাষ্ট্র নজরদারি চালাচ্ছে, বিরোধীদের ওপর, সমাজকর্মীদের ওপর, সংবাদ মাধ্যম, সাংবাদিকিদের ওপর। একটু সময়টা খেয়াল করুন, সামনে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন, বিজেপি পাঁচটাতেই হারতে পারে, কোনওরকমে রাজস্থান হাতে রাখলেও নির্বাচনের পরে তা ঘুরে যেতে সময় লাগবে না, এসব বিজেপি জানে। মোদি শাহের সরকার ভাল করেই জানে আরেকটা পুলওয়ামা তৈরি না করতে পারলে এবারে ২০২৪ এই তাঁদের পতন অনিবার্য, হিমাচল, কর্ণাটকের পরে চার রাজ্যেও হারলে তা সামলাতে হাঁসফাঁস করবে বিজেপি। কাজেই নজরদারি চালাও। কীভাবে? কেবল পেগাসাসের কথাই ভাবুন না, আপনার ফোন খোলা থাকুক আর বন্ধই থাকুক, পেগাসাস সফটওয়ার দিয়েই আপনার ফোনের ক্যামেরা মাইক ছবির ভান্ডার, মেসেজ সব চলে আসবে নজরদারদের হাতে। বন্ধ ফোন নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু নজরদারেরা আপনার কথা শুনতে পাচ্ছে। এই নজরদারিও নতুন কিছু নয়। সেই মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাস বলছে ভিক্ষু, জাদুকর, ভুয়ো সন্যাসী, এঁরা সারা রাজ্যে ছড়িয়ে থাকতো, পাশাপাশি রাজ্যেও ঘোরাফেরা করতো, এদেরকে মোবাইল গুপ্তচর ব্যবস্থাও বলা চলে। এবং ছিল বিষ কন্যা, চাণক্য তাঁর সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন, তাঁরা অত্যন্ত সুন্দরী এবং সাধারণের ধরা ছোঁয়ার নাগালের বাইরের দেহোপজীবিনী, তাঁরা যাকে মারতে হবে তাদের কে প্রলুব্ধ করতেন, তারপর মদিরায় বিষ ঢেলে তাকে খুন করতেন, এঁদের বিষকন্যা বলা হতো।

এরপর ইতিহাস গড়িয়েছে নিজের গতিতে, রাজছত্র ভেঙে পড়ে, রণডঙ্কা শব্দ নাহি তোলে, রাজারা মিউজিয়ামে চলে গ্যালো, এলো গণতন্ত্র, আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে, তাহলে গুপ্তচর কাকে খবর দেবে? বিষকন্যা কার আদেশে কাকে খুন করবে? অচিরেই সেই গণতন্ত্র যে আদতে এক সোনার পাথরবাটি তা প্রমাণিত হতে থাকলো, দেশে দেশে গুপ্তচর বাহিনী তৈরি হতে থাকলো, সে সব গুপ্তচরদের নিয়ে বই লেখা হলো, সিনেমা হলো, গুপ্তচর সারা পৃথিবীতে, প্রমাণিত হলো, এই শাসন ব্যবস্থা প্রমাণ করে দিল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল টা আসলে এক বিরাট ঢপবাজী, বিশাল মিথ্যে, তা না হলে অন্য দেশের ওপর নজরদারি তো ছেড়েই দিন, নিজের দেশের ওপরেও কড়া নজরদারি, আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মাদারি কা খেল, প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক শহরে, প্রত্যেক হয়ে উঠতে পারে বিপদজনক, এমন মানুষের ওপরে নজরদারির জন্য আধুনিক রাষ্ট্র যা খরচ করে, তা অনেক সময়েই সেই দেশের শিক্ষা বা স্বাস্থ বাজেটের চেয়েও বেশী, বিষকন্যাকে সরিয়ে গুপ্ত হত্যা আরও আধুনিক, এয়ারপোর্টে, রাস্তায়, সিনেমাহলে, মাঠে, ময়দানে, সেমিনারে, কেবল একটা ছোট্ট পিনের খোঁচা, আপনি এবং আপনার প্রতিবাদ কোমায়, কিছুদিন পর ক্যালেন্ডার।

এবং যত দিন যাচ্ছে, এই সার্ভেল্যান্স, এই নজরদারি আরও গভীর হচ্ছে, রাষ্ট্র কেবল এটা জেনেই ক্ষান্ত নয় যে আপনি রাষ্ট্রের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে কী বলছেন, রাষ্ট্র আপনার ভাবনা চিন্তা, আপনার থট প্রসেসকেও প্রভাবিত করতে চায়, আপনার খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে আপনার অসুখ, আপনার দেহে কোলেস্টরেলের পরিমাণ, আপনি আপনার গিন্নি কে বা বয় ফ্রেন্ড কে কী এবং কবে এবং কেন উপহার দিয়েছেন, তাও জেনে রাখতে চায়। জেনে রাখতে চায় আপনি পাহাড় ভালোবাসেন না সমুদ্র, পিৎজা না পায়েস, রবীন্দ্রনাথ না জয় গোস্বামী, ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান। তার সব জানা চাই, তাকে সব জানতে হবে, এবং সেই তথ্য দিয়ে আপনাকে প্রভাবিত করতে হবে, আপনাকে চালিত করতে হবে, তেমন এক সার্বিক নজরদারি ব্যবস্থা আপনার চারদিকে, আপনি তাকে এড়াতে পারবেন না, আপনার প্রত্যেকটা ব্যক্তিগত ভূল, বিচ্যুতিও তাদের খাতায় লেখা আছে, প্রয়োজনে তা ফণা বের করে সামনে হাজির হবে, আপনার সামান্যতম বিচ্যুতি নিয়ে আপনাকে ব্লাক মেইল করা হবে, আপনার প্রয়োজনের যোগান দিয়ে আপনাকে তুষ্ট করা হবে, আগে রাজকর্মচারীদের জন্য ঝোলানো থাকতো ক্যারট অ্যান্ড স্টিকস, গাজর আর থাপ্পড়, এখন তা প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য, আপনার গণতন্ত্র কবেই ভোগে চলে গেছে আপনি জানেনই না, খেয়ালই করেন নি, আপনি বছর এলে গেলে ভোট দিয়ে যান, ভোট দিয়ে যান, ভোট দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে যান, ঐ ভোট দেওয়াটাই গণতন্ত্রে খসে পড়া টিকটিকির ল্যাজের মত রয়ে গেছে, আপনি সেই পিটুলিগোলা খেয়ে নাচছেন, যে স্যাটেলাইট টা হুস করে উড়ে গ্যালো মহাকাশে, যে ওখান থেকে ভারত সহ আশেপাসের প্রতিটা ইঞ্চির ছবি পাঠাবে, তার উড়ে যাওয়াতে আপনি আনন্দিত হলেন, সেই বৈজ্ঞানিকদের যারা রকেট পাঠানোর আগে তিরুপতির মাথা ঠেকিয়ে এসেছেন, যাদের কে আপনি অভিনন্দন জানালেন, সেই স্যাটেলাইটের সামনে আপনি উলঙ্গ, আপনার ব্যক্তি স্বাধীনতা পচা কুমড়োর মত গড়াগড়ি খাচ্ছে, আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ৭৫ মিলিমিটার স্ক্রিনের সিনেমার মত বিরাট আর পরিস্কার দৃশ্যমান, আপনি আপাতত এই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ছাগলের তিন নম্বর সন্তানটির মত বিনা কারণেই আনন্দিত, পুলকিত। এই সার্বিক নজরদারির কথা আমরা জানতে পারি মূলত দুজনের কাছ থেকে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ আর এর্ডওয়ার্ড স্নোডেন, দুজনের জীবন কেটেছে রাষ্ট্রের লুকিয়ে রাখা, গোপন তথ্যগুলোকে ফাঁস করে। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জেলে, আর স্নোডেন রাশিয়ার আশ্রয়ে, সেই রাশিয়ায় যেখানকার শাসক তার বিরোধী দলনেতা কে বিষ দিয়ে খুন করার চক্রান্ত করে।  স্নোডেন কে নিয়ে একটা সিনেমাও হয়ে গেছে, দুর্ধষয় স্পাই থ্রিলার, কেমন করে এক যুবক, আমারিকার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে সি আই এ তে গ্যালো, এবং তার পরের আখ্যান। সি আই এ তে কাজ করতে গিয়ে স্নোডেন দেখেছিলেন, ব্যক্তি মানুষের ওপর চলছে ২৪ ঘন্টার নজরদারি, দেখলেন, নাগরিকের প্রতিটা ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে রাষ্ট্রের কাছে জড় হচ্ছে, অন্য ধারে মাত্র ১৬ বছরেই প্রতিষ্ঠিত হ্যাকার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ হ্যাক করতে করতে পেয়ে যান বহু গোপন তথ্য, যা রাষ্ট্র, রাষ্ট্র সুরক্ষার নাম করে গোপনীয়তার আবরণে মুড়ে রেখেছে, যে সব তথ্য প্রমাণ করে দেয় রাষ্ট্রের মাথায় বসে আছে কিছু শঠ, প্রবঞ্চক। এদের দুজনের প্রকাশ করা তথ্য বলে দেয় যে আসলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বলে কিছুই নেই, সবটাই চলছে নজরদারিতে, প্রত্যেকটা সেকেন্ড, দ্য, বিগ বস ইস ওয়াচিং ইউ।

আমাদের দেশেও নজরদারি ছিল, সাধারণ পোশাকে কিন্তু নিজের পয়সায় সাধারণ জুতো কেনার ক্ষমতা ছিলনা বলেই, তাদের পায়ে থাকতো পুলিশের জুতো, একটু খেয়াল করলেই বোঝা যেত, এরা পুলিশের খোচড়। সে সব দিন গেছে, এখন সেখানেও আধুনিকতম যন্ত্রপাতি হাজির, ইজরায়েল পাঠাচ্ছে সেসব যন্ত্রপাতি, আড়ি পাতা হচ্ছে প্রত্যেক ফোনে, আড়ি পাতার আগে কেবল লিখে রাখা হচ্ছে যে এই মানুষটি রাষ্ট্রের পক্ষে বিপদজনক, তার জন্য কানুনি কারবাই হয়ে গ্যাছে, আপাতত রাষ্ট্র আইন মেনেই আড়ি পাতছে। তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন তালিকা, সংগ্রহ করা হচ্ছে নাগরিকের প্রতিটা তথ্য। আপনার আঙুলের ছাপ থেকে রেটিনার ম্যাপ সরকারের হাতে, আপনি ভেবেই সন্তুষ্ট যে আপনার দামী ফোনটা তে রেটিনা লক সিস্টেম আছে, অথচ মনেই নেই যে আপনার রেটিনার ছবি আধার কার্ড করার সময় আপনি রাষ্ট্র কে দিয়ে এসেছেন, রাষ্ট্র আপনার মোবাইল খুলতে চাইলে তাকে এক ফোঁটাও কষ্ট করতে হবে না, আপনার আঙুলের, ১০ আঙুলের ছাপ দেওয়া আছে রাষ্ট্রর কাছে, ফিঙ্গার প্রিন্ট লক টা জানলার ছিটকিনির থেকেও সহজে খোলা যাবে, কেবল তাই নয়, আপনার মোবাইল, আপনার ল্যাপটপে রাখা প্রতিটা তথ্য সরকার বাহাদুরের হাতের মুঠোয়, প্রথমে ভোটার কার্ড হলো, বোরখা পাগড়ি, চশমা উতারকে আপনার আদত চেহারা, নাম ঠিকানা, বাপের নাম পেল, সরকার বাহাদুর, এবার আপনার আধার কার্ড, আপনার রেটিনা, আপনার ১০ আঙুলের ছাপ সমেত আপনি একটা নম্বর, খুঁজে বার করতে খেলাঘরের সার্চ ইঞ্জিনের এক মিনিট সময় লাগবে না, আপনার গাড়ির নাম্বার প্লেট ডিজিটাইজড, আপনি কোনখানে কবে গেছেন, কোন পেট্রল পাম্পে তেল ভরেছেন, কোন টোল ট্যাক্স দিয়ে পার হয়েছেন, সরকার বাহাদুর জানে, এখন আবার ফাস্ট্যাগ হয়েছে, বড় রাস্তায় নামলেই সরকার বাহাদুর জানেন, আপনার গন্তব্যস্থল। আপনার ক্রেডিট কার্ড এ এখন চিপ, প্রত্যেকটা খরচ, প্রত্যেকটা বেচা কেনার ওপর নজরদারি চলছে, আপনি মাসে কটা সিনেমা দেখেন তাও তাঁরা জানেন, কিভাবে? কেন, আপনিই তো লাইনে না দাঁড়িয়ে বুক মাই শোতে টিকিট কেটেছেন, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডে, তাতে নাকি ১৬ টাকা ৫০ পয়সার ছাড়ও ছিল। সরকারের কাছে সে তথ্যও আছে, কোন বিমানে চড়ছেন, কোন ট্রেনের টিকিট কাটছেন? কোন ব্যাঙ্কে টাকা রাখছেন, সোনা কিনছেন না সোনাগাছি যাচ্ছেন, সরকার জানে, আছে জ্যোমাটো, সুইগি। আপনি নন ভেজ না ভেজ, আপনি মাংস না মাছ, আপনি মিষ্টি না ঝাল কোনটা পছন্দ করেন, রাষ্ট্র জানে। এবার বাকি ছিল আপনার কোলেস্টরেল কত? হাইপার টেনশনের রোগী কিনা? সুগার কত? এটা সরকার বাহাদুরের কাছে ঠিকঠাক ছিলো না, তার ব্যবস্থার জন্য মোদী জী এবার হেলথ কার্ড চালু করে দিচ্ছেন, সেখানে আপনার রক্তের গ্রুপ থেকে শরীরের সব খবর রাখা থাকবে, অতএব পৃথিবীর স্বাস্থ ব্যবসায়ীদের কি আনন্দ, কি আনন্দ, আপনার, আপনার অঞ্চলে রোগের ম্যাপ তৈরি হাতে পেয়ে যাবে তারা, ওষুধও সেই ভাবেই তৈরি হবে, এবার তারা রক্তের স্যাম্পল ও পেয়ে যাবে, ডি এন এ ম্যাপিং হবে, আপনার হাঁড়ির খবর, নাড়ির খবর, সবই এখন সরকারের হাতে, প্রশ্ন করতেই পারেন যে এসব তথ্য তো ভালো কাজেও লাগানো যায়, নিশ্চই যায়, জনকল্যাণকর রাষ্ট্রের কাছে এসব তথ্য থাকলে তা মানুষের, দেশের কাজেই দেবে, সমস্যাটা হলো, যে সরকার দেশের এক পঞ্চমাংশ মানুষ কে দেশের মানুষ বলেই মনে করে না, লুঙ্গি টিকি র ওপর ভিত্তি করে যে প্রধানমন্ত্রী মানুষ চেনে, যে দেশে সরকার কে প্রশ্ন করাটাই দেশদ্রোহিতা, সেই সরকারের ওপর কে ভরসা করবে? কেনই বা ভরসা করবে? আমার ব্যক্তিগত সবকিছু আমি খোলা ময়দানে রেখে দেবো, আমারই জীবন অতিষ্ট করে তোলার জন্য, তা তো হয় না। অতএব সাধু সাবধান, কেবল বিরোধী নেতারাই নন, কেবল সমাজ কর্মী বা সাংবাদিকরাই নন, আপনিও ক্রমশ উলঙ্গ হয়ে পড়ছেন, দ্য বিগ বস, থুড়ি মোদীজী ইজ ওয়াচিং ইউ। ওয়াচিং মি তো বোঝা গ্যালো, কিন্তু কেন? কারণ পরধান সেবক মোদিজী ভয় পেয়েছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Arvind Kejriwal | 'মোদি ভোটে জিতলে মমতাকে জেলে পাঠাবেন', জামিনে মুক্তির পরই বিজেপিকে তোপ কেজরির
02:01
Video thumbnail
পলিট্রিক্সের গ্রিনরুম (পর্ব ৬) | তারকাদের কুর্সি-সভ্যতা
55:32
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar ) | বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী কীর্তি আজাদ
02:14
Video thumbnail
Suvendu Adhikari | কেজরির মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মমতাকে নিশানা বিরোধী দলনেতার
05:26
Video thumbnail
ধর্মযুদ্ধের দামামা | Dharmajuddha Damama | পঞ্চম দফার আগে ফের আরামবাগে প্রধানমন্ত্রী
11:38
Video thumbnail
District Top News | দেখে নিন আজকের জেলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি
17:17
Video thumbnail
Pori Moni | স্বামীর সঙ্গে দূরত্বের মধ্যেই ফের মা হলেন পরীমণি
01:46
Video thumbnail
KKR vs MI | ইডেনে কলকাতার মুখোমুখি মুম্বই, জিতলেই প্লে অফ নিশ্চিত করবে কেকেআর
04:30
Video thumbnail
Murshidabadh | ভোট আবহে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা উদ্ধার
00:34
Video thumbnail
Mamata Banerjee | 'মহিলার উপর নির্যাতন করেছেন, আপনি কে?' : মমতা
06:03