নয়াদিল্লি: নাবালিকার (Minor) সম্মতি আইনের চোখে সম্মতি নয়। একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে একথা জানাল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের পর তার আধার কার্ডে (Adhar Card) জন্মতারিখ বদল করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। জামিন নামঞ্জুর করার সময় তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। আদালতের ভাষায়, আধার কার্ডে জন্মতারিখ বদলের বিষয়টি ‘গুরুতর অপরাধ’।
বিচারপতি জশমিত সিং তাঁর জামিন খারিজ করার নির্দেশে বলেছেন, দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্ত আবেদনকারী আধার কার্ডে জন্মতারিখ বদলে নাবালিকার কাছ থেকে সুযোগ গ্রহণ করেছেন। অথচ, দেখা গিয়েছে অভিযোগকারিণী, যার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক পাতানো হয়েছে, সে বাস্তবিক নাবালিকা। ১৬ বছরের কোনও নাবালিকার সম্মতির আইনের চোখে কোনও ভিত্তি নেই। অভিযুক্তর বয়স যেখানে ২৩ বছর এবং সে বিবাহিত, তাই তার জামিনের আবেদন খারিজ করা হল। প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া কোনও নাবালিকার মতকে আইন তার স্বাধীন সম্মতি বলে বিচার করে না।
আরও পড়ুন: Jharkhand Incident: দাদার মাথা কেটে তুলল সেলফি, গ্রেফতার ভাই
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অভিযোগকারিণীর বাবা তাঁর মেয়ে নিখোঁজ বলে একটি এফআইআর করেন। পরে উত্তরপ্রদেশ সম্ভাল জেলা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এবং বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। মেয়েটিকে সেই সময় এই অভিযুক্তের কাছ থেকে পায় পুলিশ। মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এও বয়ান দেয় যে, ছেলেটি তার বন্ধু এবং সে ওর সঙ্গে মাস দেড়েক ধরে ছিল।
মেয়েটি আরও জানায়, তার সম্মতিতেই ছেলেটির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটি নিজেই ওর সঙ্গে থাকতে চায়। অভিযুক্ত যুবক আদালতে জামিন চেয়ে জানায়, গত ৩ বছর ধরে সে হেফাজতে রয়েছে এবং পুলিশ এই মামলায় চার্জশিটও দিয়েছে। বিচারপতি জবাবে বলেন, ঘটনার সময় মেয়েটির বয়স মেরেকেটে ১৬ বছর ছিল। অন্যদিকে, অভিযুক্তর বয়স ছিল ২৩ এবং বিবাহিত ছিল সে।
অভিযোগকারীর পক্ষে আইনজীবী জানান, ছেলেটি তারও আগে মেয়েটিকে মহকুমা শাসকের অফিসের নিয়ে গিয়ে আধার কার্ডে তার জন্ম বছর ২০০২ থেকে ২০০০ সাল করিয়ে আনে। যাতে করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য বয়স লুকানো সম্ভব হয়। আদালত তারও কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে।