গাইঘাটা: শিয়ালখোলা গ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন। মঙ্গলবার রাতে গাইঘাটার (Gaighata) ওই গ্রামে বিজেপির কর্মিসভায় ওই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হয়। ট্যাংরা, ঘোষপাড়া, আইলাপাড়া এলাকার বহু আদিবাসী (Tribal) বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস ও বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। যোগদানকারীদের দাবি, তাঁরা এক সময় সিপিএম ছেড়েছিলেন দুর্নীতির কারণে। এবার তৃণমূল ছাড়ছেন ওই একই কারণে।
বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘আদিবসী মানুষরা খেটে খাওয়া মানুষ। ওঁদের মধ্যে ওত লোভ লালসা নেই। আর তৃণমূল মানেই চোরে ভর্তি, বিধায়করা এখন পাচিল টপকাতে ব্যস্ত। এসব দেখে কী এই বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া মানুষরা আর ওই দলের সঙ্গে থাকতে পারে? এসব দেখেই তাঁরা দল থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং বিজিপেতে যোগদান করেছেন। কারণ তাঁরা দেখেছে বিজেপি সধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে থাকে, তাঁদের সম্মান দেয়। সাধারণ মানুষ দেখেছে, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির একজন রাম নাথ কোবিন্দকে বিজেপি রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে। বর্তমানে আদিবাসী জনজাতির একজন দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে। এসব দেখেই আদিবাসীরা নিজেদের ইচ্ছেই দলে যোগ দিয়েছেন।
আগামী দিনে এরকম বহু মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন বলেই আশা করছি, কারণ তৃণমূলের যা নিতি আদর্শ তাতে করে দলটি আর বেশি দিন থাকবে না, দলের নেতামন্ত্রীরা সব জেলেই থাকবেন।’
 শিয়ালখোলা গ্রামে বিজেপির এক কর্মীসভা হয়। ওই সভাতে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে শতাধিক আদিবাসী (Adivasi) সম্প্রদায় মানুষ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেছেন। শিয়ালখলা গ্রামের এলাকায় ট্যাংরা, ঘোষপাড়া, আইলাপাড়া এলাকার আদিবাসীরা (Tribals) বিজেপিতে যোগদান করেছেন।){kind=link}