তেল আভিভ ও গাজা: গাজায় (Gaza) মারণ আক্রমণ ইজরায়েলি বাহিনীর। গাজা শহরে আল আহলি আরব হাসপাতালে (Al-Ahli Arab Hospital) বোমাবর্ষণে ৫০০-র বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি। যদিও ইজরায়েলি (Israel) সেনা জানিয়েছে, তারা একাজ করেনি। প্যালেস্তিনীয় ইসলামি জেহাদের (Palestinian Islamic Jihad) একটি রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হাসপাতালে আছড়ে পড়েছে। অন্যদিকে প্যালেস্তিনীয় ইসলামিক জেহাদের তরফে বলা হয়েছে, তৈরি করা মিথ্যা বলছে ইজরায়েল। এই অভিযোগকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে।
কয়েক দশকের মধ্যে হাসপাতাল ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেনি। হাসপাতালে গণহত্যার এই ঘটনা গোটা বিশ্বে নিন্দার ঝড় তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, বুধবার ইজরায়েলে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)।
আরও পড়ুন: পুজো কি মাটি করবে ঘূর্ণাবর্ত? জানুন কী বলছে হাওয়া অফিস
ইজরায়েলে এসে বাইডেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর (PM Benjamin Netanyahu) সঙ্গে কথা বললেও আম্মানে প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আব্বাস এবং জর্ডন ও মিশরের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। গাজা এলাকায় ইজরায়েল ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করায় প্যালেস্তাইনে নাগরিক জীবনধারণের রসদ পৌঁছে দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। প্যালেস্তাইনের দাবি, ইজরায়েলি বাহিনী ত্রাণসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না।
গতকাল মঙ্গলবারই ইজরায়েলি বাহিনীর এক মুখপাত্র আভাস দিয়েছিলেন যে, এবারের আক্রমণের ধারা অন্যরকম হবে। যা কেউ আন্দাজ করতেই পারছেন না। তারপরই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আল আহলি হাসপাতালে গণহত্যার রক্তে হাত রাঙাল ইজরায়েল। এই হাসপাতালে শুধু জখমদের চিকিৎসা চলছিল তা নয়, উত্তর গাজা ছেড়ে আসা কয়েকশো মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যাঁদের অধিকাংশই মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধবৃদ্ধা। তাঁদের আশা ছিল, ইজরায়েল নিশ্চই হাসপাতালে হানাদারি চালাবে না।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের চর সংস্থার খবর হচ্ছে, নিরীহ মানুষকে ঢাল করে হামাস জঙ্গিরা হাসপাতালে মুখ লুকিয়ে ছিল। বোমাবর্ষণে হাসপাতালে মুহূর্তে কুণ্ডলী পাকিয়ে আগুনের হলকা আকাশের দিকে উড়তে দেখা যায়। শয়ে শয়ে মানুষের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ে। এই ঘটনার পরপরই তুরস্ক, লেবানন, জর্ডন এবং তিউনিসিয়ায় ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। এইসব দেশে ইজরায়েল, আমেরিকা এবং ফরাসি দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়।
দেখুন অন্য খবর