Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent Newsচতুর্থ স্তম্ভ: মিশন ২০২৪(২)

চতুর্থ স্তম্ভ: মিশন ২০২৪(২)

Follow Us :

দেশের রাজনৈতিক মহলে যা হচ্ছে, যা যা হচ্ছে, তার প্রত্যেকটাই মিশন ২০২৪কে মাথায় রেখেই হচ্ছে, বোড়েকে বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, নৌককে সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে, রাণীকে কড়া পাহারায়, গজ এগোচ্ছে, ঘোড়ার আড়াই চাল, সব ওই মিশন ২০২৪ এর অঙ্গ। কংগ্রেসের ব্রাহ্মণ নেতা জিতীন প্রসাদ চলে গেলেন, বিজেপিতে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের ঘর ওয়াপসি, আদিত্যনাথ যোগীর দিল্লিতে গিয়ে মোদী, শাহ, নাড্ডাজির সঙ্গে বার্তালাপ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ভূপালে বৈঠক করছেন, বিজেপির কিছু থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চলে গেছেন গুজরাট, ওখানে মুখ্যমন্ত্রী রূপানির বিরুদ্ধে ভারি ক্ষোভ জমেছে বলে খবর, ওদিকে পি.কে হ্যাঁ, প্রশান্ত কিশোর মুম্বই গেলেন, দেখা করলেন শাহরুখ খান আর শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। দক্ষিণে কর্ণাটকে ইয়েদুরিয়াপ্পা বৈঠক করছে বিধায়কদের সঙ্গে, মণিপুরে কংগ্রেস তার নতুন কমিটি ঘোষণা করল, উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এই সবকটা চহল পহল আসলে ওই মিশন ২০২৪ এরই অঙ্গ, আসুন এই সবকটা সূত্রকে একসঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করি, কারণ আপাতত মিশন ২০২৪ ই রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে সুপারহিট পালা হতে চলেছে।
ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা, হ্যাঁ মোদীজির ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা কমেছে, কিন্তু কমার পরেও ৮৩% থেকে ৬২%, মানে উনি এখনও এই দৌড়ে অনেক এগিয়ে। কিন্তু বিজেপি? ২০১৭ তে বিজেপি দেশের ৭১% মানুষকে ডাবল ইঞ্জিন দিয়ে চালাতো, মানে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারে, বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসন ক্ষমতায় ছিল, ওটাই ছিল বিজেপির কৃতিত্বের চূড়া। তারপর থেকে নামছে। রাজস্থান চলে গেছে, ছত্তিশগড় চলে গেছে, মহারাষ্ট্র চলে গেছে, তামিলনাড়ু ছিল শরিকদল এআইডিএমকে’র হাতে, চলে গেছে। এখন তাদের হাতে ৪৯% পড়ে রয়েছে, তারমধ্যে কর্ণাটক আর মধ্যপ্রদেশ দলবদল করিয়ে, অন্য দল ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। ঝাঁপিয়েছিল সর্বশক্তি নিয়ে এই বাংলায়, ফলাফল সবার জানা। ওদিকে তামিলনাড়ু চলে গেছে ডিএমকে’র হাতে, ফলে দুটো ঘটনা পাশাপাশি চলছে, বিরোধীরা চাঙ্গা, তারা জোট বাঁধছে, ২০২৪ কে মাথায় রেখে তাঁদের রাজনৈতিক গতিবিধি বাড়ছে, অন্যদিকে মোদী – শাহ বুঝতে পেরেছেন, লড়াইটা সোজা নয়, কাজেই তাঁরাও তাদের মত ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। ২১৩ টা আসন পেয়েছে তৃণমূল, কী দরকার ছিল মুকুলকে দলে আনার? এত তাড়াহুড়ো কেন? এমনকি যারা বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়, সেই বাম বিপ্লবীরাও শোর মচাচ্ছেন, এ তো ঘোর অন্যায়, এ তো দল ভাঙানো। বিজেপি দুর্বল হচ্ছে, কোন বিজেপি? যারা সাধারণ নীতি নৈতিকতার ধারও মাড়ান না, যাঁদের আপাতত বৃদ্ধি হল অন্যদল ভাঙিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখা, নিজেদের ক্ষমতা বাড়ানো, তাদের একজন গেছে তৃণমূলে, বিপ্লবীরা তৃণমূলের কাছ থেকে বৈপ্লবিক নৈতিকতা আশা করছেন, দেশের অন্যান্য বিজেপি বিরোধী শক্তি কিন্তু এই খবরে খুশি, বিজেপির জাহাজও যে টলমল, সে খবর গেলো আম জনতার কাছে, সিপিআইএম দুঃখ পেল।
সে যাইহোক, এবার উত্তর প্রদেশ চলুন, বিজেপির লক্ষ্য উত্তর প্রদেশের ব্রাহ্মণ ভোট, ১০% ব্রাহ্মণ ভোট। সেইজন্য জিতীন প্রসাদকে ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হল, কিন্তু সমস্যা হল, জিতীন প্রসাদকেও তো কিছু দিতে হবে, সেটা কী? ঠাকুর অজয় সিং বিস্ত ওরফে আদিত্যনাথ যোগী সেটা কোন চোখে দেখবেন? তিনি মাথায় বসে আছেন বলে সেখানকার ব্রাহ্মণ যাদবরা অসন্তুষ্ট, যাদবদের ভোট মোটামুটি অখিলেশের দিকেই যাবে, কিন্তু ব্রাহ্মণদের? তাঁদের ভোট পেতে গেলে জিতীন প্রসাদের হাতে লালিপপ দিতে হবে, সেটা আদিত্যনাথ যোগী দেবেন? দিতে রাজী হবেন? আদিত্যনাথকে না সরালে কেবল জিতীন প্রসাদকে আনলেই সমস্যার সমাধান হবে? ব্রাহ্মণদের ভোট পাওয়া যাবে? ২০২২ এ ভোট, এখন আদিত্যনাথকে সরানো যাবে না, তাঁর মন্ত্রীসভায় কয়েকজনকে আনা হবে, প্রধানমন্ত্রীর কাছের মানুষ, এ কে শর্মা ইত্যাদিকে কিছু দায়িত্ব দেওয়া হবে, এবং নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ নেতারা, যাঁরা কৃষক আন্দোলনে ছিলেন, পঞ্চায়েতের ভোটে বুঝিয়ে দিয়েছেন জাঠরা আর বিজেপির সঙ্গে নেই। সারা দেশের বিরোধী নেতারা নামবেন, আদিত্য যোগী বাংলায় ২৫ বার এসেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ বার যাবেন না? আসবেন শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে। তেজস্বী যাদব যাবেন না? যাবেন, সারা দেশের বিভিন্ন অবিজেপি, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরা যাবেন, নো ভোট টু বিজেপি শ্লোগান উঠবে, বেসুরো আওয়াজ দিকে দিকে তাই শিল্পপতিদের টাকা সব বিজেপির দিকেই যাবে, এমনটা নয়, এবার বিরোধীদের ব্যাঙ্কেও টাকা পয়সাও আসবে, প্রচার হবে। প্রধানমন্ত্রী আবার মাঠে নামবেন, যোগীজির সরকারকে ভোট দিতে বলবেন, যতই অপছন্দ হোক, তাঁকে প্রকাশ্যে এই কথা বলতেই হবে। এবার তিনটে পরিণাম, (এক) আদিত্যনাথ যোগী আবার দারুণভাবে জিতে এলেন, অন্তত শরিক দলের ওপর নির্ভরশীল হতে হল না, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর চ্যালেঞ্জার যোগী, তিনিই হবেন বিজেপির মুখ, হিন্দুত্বের সহি পোস্টার বয়, অমিত শাহ, মোদী, গুজরাট লবি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তীব্র উগ্র হিন্দুত্ব নিয়েই ২০২৪ এ মাঠে নামবে বিজেপি, উদার হিন্দু, সংখ্যালঘু মানুষজন, অসাম্প্রদায়িক মানুষেরা একজোট হবেন, ফল ভালো হবে না। (দুই) শরিক দলের সাহায্যে বিজেপির সরকার, সে ক্ষেত্রে যোগীকে সরতেই হবে, কারণ আরও নম্র মুখ দরকার হবে, নেতৃত্ব বদলাতেই হবে। ২০২৪ এ হিন্দুত্বের শ্লোগান হাতছাড়া হতে বাধ্য, হিন্দি হার্টল্যান্ডে যোগীজিকে বিজেপি নিজেই, হিন্দুত্বের পোস্টার বয় বানিয়েছে, ২০২৪ এ মোদীজি ইউপিতে বেগ পাবেন, এবং রাজ্যসভায় ক্ষমতা কমবে, মানে আবার গুচ্ছের বিল আটকে যাওয়া। (তিন) বিজেপি হেরে গেলো, অখিলেশ মুখ্যমন্ত্রী হলেন, কংগ্রেস আর ছোট কিছু দলের সমর্থন নিয়ে বা না নিয়ে, তাহলে সেদিনেই ২০২৪ এর ফলাফলও ঘোষিত হয়ে যাবে, এই অবস্থায়, উত্তরপ্রদেশ হারিয়ে কেন্দ্রে বিজেপির ফেরা অসম্ভব, তাই এখন যোগীকে দিল্লিতে ডেকে রফাসূত্র বার করা হচ্ছে, আরএসএস প্রচারকরা এখন থেকেই উত্তর প্রদেশে, কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসা লাগানোর গোপন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে, ২০২২ নয়, আসলে ২০২৪ এর তৈয়ারি চলছে, যোগীকে সামলে উত্তরপ্রদেশ চাই, জিতীন প্রসাদকে সেই জন্যেই নেওয়া হল, ১০% ব্রাহ্মণ ভোট, ১৩% যাদব ভোটের পরেই তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ক’দিন আগেও একটু নরম মায়াবতীর মুখ ভার, তিনি বলেছেন, মনুবাদী বিজেপি জাতপাতের রাজনীতি করছে, অবশ্য মায়াবতী বহেন এবং তাঁর দল বিএসপি বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে, অতি পিছড়ে কিছু জাতির নেতাদের সঙ্গে, বিজেপি নেতৃত্ব কথা বলছে বটে কিন্তু সেখানেও এই ক বছরে রাজপুত, ঠাকুরদের নীচু জাতির মানুষজন, বিশেষ করে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার স্মৃতি, এখনও টাটকা। হাথরসের বাল্মিকীরা এইরকমই অতি পিছড়ে জাতির মধ্যেই পড়ে, যাদের ঘরের মেয়েকে ধর্ষণ করে, মেরে ফেলার পরে এখনও অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, মিছিল করছে।
একই অবস্থা কর্ণাটকেও, ইয়েদুরিয়াপ্পার বিভিন্ন দুর্নীতি সামনে এলেও তাঁর গায়ে হাত দেবার জো নেই, বিজেপি নেতৃত্ব ভাল করেই জানেন যে লিঙ্গায়েতদের ভোট না পেলে গোহারান হারতে হবে, এদিকে কর্ণাটকে ইয়েদুরিয়াপ্পার দুর্নীতি, ক্রমশ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওদিকে বিজয় রূপাণি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে দলের জনা ৫০ বিধায়ক জোট বেঁধেছে, তাঁদের সমর্থন করলে বিরোধিতায় রাস্তায় নামবে রূপানির সমর্থক বিধায়করা, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়, দু’দলের মিটমাট না হলে, গুজরাট হাত থেকে ফস্কে যাবে। এধারে বছর ঘুরে গেলো, থালায় সাজিয়ে মধ্যপ্রদেশ দিয়েছেন বিজেপিকে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিন্তু তাঁকে কেবল রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া হয়েছে, তিনি এবং তাঁর সমর্থকরা ক্রমশই অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। একই কথা ওড়িশার জয় পন্ডাকে নিয়ে, নির্বাচনের আগে বিজেপি জয়েন করেছেন, জিততেও পারেননি, কিন্তু তাঁর পুনর্বাসন চাই। আর ২০২৩ এর আগে, একটা নির্বাচনেও বিজেপির হার মানে আবার ঝটকা, সেটা বিজেপি জানে, সেটা বিরোধীরাও জানে।
বিরোধীরা এক জায়গায় জড় হচ্ছেন, সলতে পাকাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। শরদ পাওয়ার, এই সময়ে ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে কনেকটেড পলিটিশিয়ান, মমতা, অখিলেশ, তেজস্বী থেকে এমনকি মোদী, তিনি একটা ফোন ঘুরিয়ে কথা বলতে পারেন, দেশের শিল্পপতিরা তাঁকে কেবল চেনেন না, ভরসাও করেন। ঘন্টা দুয়েক পিকের সঙ্গে কথা বললেন, সে তো আর জগন্নাথ ধাম নিয়ে নয়, সলতে পাকানো হচ্ছে। এই সময়েই প্রশ্ন উঠবে, মুখ কে? মোদীর বিরুদ্ধে কোন মুখ? সেই একই তত্ব, T I N A There is no alternative নরেন্দ্র মোদীর কোনও বিকল্প নেই, অতএব, তিনিই থাকবেন। এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে মোদী বিরোধী জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, আছেন রাহুল গান্ধী, আছেন, শারদ পাওয়ার, আছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনারা জনপ্রিয় বিরোধী মুখ। এরকম খবরও বাতাসে ভাসছে, বিরোধী দলনেতারা রাজনৈতিকভাবে এক মঞ্চে আসবেন, ঐক্যবদ্ধ হবেন, কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম তৈরি হবে। আর সম্ভবত এঁদের বাইরে থেকেই তৃতীয় কোনও মানুষ, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, উচ্চ শিক্ষিত একজনকে প্রজেক্ট করা হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, এরকম এক পরিকল্পনার কথা দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ভাসছে, বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, একমাত্র তাহলেই আরএসএস – বিজেপি, মোদী – শাহকে হারানো যাবে। ভবিষ্যতে কী হবে, এখনই বলা সম্ভব নয়, তবে এটা বলা যেতেই পারে, যা যা ঘটছে রাজনৈতিক মহলে, তাকে এই ছোট রাজ্যের পরিসরে দেখাটা ভুল হবে, যা হচ্ছে, যে পক্ষ থেকেই হোক, যা যা করা হচ্ছে, তার সবটাই আসলে মিশন ২০২৪ এরেই অঙ্গ, সেই মহাভারতের লড়াই, যা আগামী দশকে ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − eleven =

Most Popular

Video thumbnail
Sukanta Majumdar | 'এবার ৩০-এর উপর আসন পেলে', ১বছরের মধ্যে নবান্নে BJPর মুখ্যমন্ত্রী
03:38
Video thumbnail
Sukanta Majumdar | 'তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন' একা না পারলে আমাদের ডাকুন
06:37
Video thumbnail
Mumbai Storm | ধুলোঝড়ে বিপর্যস্ত মুম্বই, মঙ্গলবার সকালেও উদ্ধারকাজ জারি, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
01:00
Video thumbnail
পায়ে পায়ে ধর্মযুদ্ধে | ভোটপ্রচারে আজ ফের বঙ্গে শাহ থেকে জোড়া সভা মমতার
04:56
Video thumbnail
Coal Scam | Anup Majhi | কয়লাপাচার মামলায় আসানসোলে সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ অনুপ মাজি ওরফে লালা
03:13
Video thumbnail
PM Modi | মোদির মনোনয়ন উপলক্ষে বারাণসীতে মেগা ইভেন্ট
05:09
Video thumbnail
Mamata Banerjee | বিজেপি ১৯৫, ইন্ডিয়া জোট ৩১৫! মোদিবাবু দিদি ইন্ডিয়া- কে ক্ষমতায় আনবে
04:24
Video thumbnail
Narendra Modi | মঙ্গলের মঙ্গল মুহূর্তে মনোনয়ন জমা মোদির, তার আগে পুজো দিলেন বিশ্বনাথ মন্দিরে
03:57
Video thumbnail
Sukanta Majumdar | '১বছরের মধ্যে নবান্নে BJPর মুখ্যমন্ত্রী', তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন সুকান্ত
00:50
Video thumbnail
Yusuf Pathan | বহরমপুরে বারবার আসব, কাজ করব, কলকাতা টিভির মুখোমুখি ইউসুফ পাঠান
05:00