রামপুরহাট: তাঁর নাম আনারুল হোসেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গ্রেফতারের আগে তাঁর নামে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খেত। বগটুইকাণ্ডে গ্রেফতারি এবং সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরেও জেলাস্তরে তাঁর প্রতাপ কমেনি বলেই অভিযোগ। এমনকী বগটুই অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী মিহিলাল শেখ জেলে বিশেষ সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে আনারুলকে, এমনও অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু শুক্রবার আদালতে তোলার সময় সেসব অভিযোগ অস্বীকার করলেন আনারুল হোসেন।
আনারুল হোসেনকে এদিন তোলা হয় রামপুরহাট মহকুমা আদালতে। ১৯ এপ্রিল নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ অভিযোগ করেছিলেন, আনারুল হোসেনকে জেলের ভিতর সমস্ত রকম সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন আনারুল হোসেন। পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়েও মুখ খোলেননি তিনি। এ ব্যাপারে বলেন, আদালতে যা বলার আইনজীবী বলবে।
আরও পড়ুন: Calcutta HC NIA: বীরভূমের দুটি বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এর আগের দিন বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত আনারুল হোসেনের পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখে রামপুরহাট মহকুমা আদালত। এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি রয়েছে এদিন। তদন্তের স্বার্থে আনারুল-সহ ছজনের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর আবেদন করেছিল সিবিআই। তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আনারুলের আইনজীবী আগের দিন আদালতে বলেছিলেন, সিবিআই সকলের পলিগ্রাফি পরীক্ষার আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় তুলে ধরে তার প্রতিবাদ করি। আদালত তাতে মান্যতা দিয়েছে। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযুক্তের সম্মতি ছাড়া পলিগ্রাফি টেস্ট করা যায় না। সেই কারণে আদালত পলিগ্রাফি টেস্টের ব্যাপারে আনারুলসহ বাকিদের অনুমতি নিতে বলেছে। এছাড়া, আনারুলের কাছ থেকে এই কদিনে একটি মোবাইল ছাড়া কিছুই উদ্ধার করতে পারা যায়নি। সেই মোবাইলটিও আইন মেনে সিজ করা হয়নি বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি।