সাগর: অশনি আতঙ্কে ঘুম উড়েছে সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। যশ, আয়লা, আমফানের দাপট সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল সুন্দরবনের অর্থনীতি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। কার্যত জেগেই রাত কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। অশনি সর্তকতার মধ্যে মঙ্গলবার জলপথে সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলের নদী বাঁধ পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
সেচ দফতরের আধিকারিকরা ছাড়াও এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাগর ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল এবং সাগরের এসডিপিও দীপাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়৷ জলপথে নদী বাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। যে সকল জায়গায় নদী বাঁধগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছে, সেগুলি দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন মন্ত্রী৷ তিনি বলেন, দুর্বল বাঁধগুলি দ্রুত মেরামতির কাজ চলছে। পুরো সুন্দরবন এলাকায় ১৩০টি জায়গার জন্য টেন্ডার ডেকে কাজ চলছে।
ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বধূখালী গ্রামের বাঁধের বেহাল দশা। নদী বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক বিধায়ক পরেশ রামদাস বাঁধ মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বাঁধ পরিদর্শনে যান তিনি।
আরও পড়ুন: Siliguri Dacoit: শিলিগুড়িতে একাকী বৃদ্ধকে মারধর করে বেঁধে গয়না, নগদ টাকা লুঠ
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাগর ব্লকের মহিষামারি, ধবলাট, কচুবেড়িয়া, বঙ্কিমনগর, রাসপুরে বাঁধ বেহাল। ঘোড়ামারা ও মৌসুনি দ্বীপেও অনেক বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক। কিছু কিছু এলাকায় বাঁধ বলতে কিছুই নেই। পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর, কে-প্লট-সহ একাধিক এলাকায় বাঁধ মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।