বোলপুর: শান্তিনিকেতনে নাবালিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় রবিবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও বীরভূম জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এদিন বোলপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছে যান তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেন লীনা। কথা হয়েছে তার মায়ের সঙ্গেও।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লীনা জানান, ওই কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে এসেছে তাঁদের। তবে এদিন কিশোরীর বয়ানে উঠে এসেছে নতুন তথ্য। তাঁর ইঙ্গিত, ধর্ষণ হয়েছে, তবে গণধর্ষণ নয়। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বোলপুরের মেলা থেকে তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল চার জন। তবে তিনজন তার সমবয়স্ক হওয়ায় তাদের বাধা দিতে সক্ষম হয় ওই কিশোরী। একজন যুবক তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।
জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, নির্যাতিতার প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলে স্কেচ বানানো হয়েছে। সেই স্কেচ ধরে এদিনের মধ্যেই দোষীদের চিহ্নিত করার আশা রাখছেন তাঁরা। ঠিক কতজন এই কাণ্ডে যুক্ত, সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান পুলিস সুপার। জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে আর কিছু জানাতে পারবেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: Karnataka Violence: থানায় পাথর হামলায় জখম ১২ পুলিস কর্মী, গ্রেফতার ৪০
এদিন বোলপুরের সার্কিট হাউসে আসেন বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রেসিডেন্ট তনুজা চক্রবর্তী-সহ ছয় মহিলা প্রতিনিধি। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই নাবালিকা তাঁর এক বান্ধবীর বাড়িতে আসে চড়ক পুজো দেখতে। শান্তিনিকেতন থানার আদিত্যপুরে চড়ক মেলা ছিল৷ জানা গিয়েছে, সেই মেলা থেকে ফেরার পথে প্রেমিকের কাছ থেকে ছিনিয়ে ওই নাবালিকাকে অন্ধকার নদীর তীরে তুলে নিয়ে যায় পাঁচ যুবক। এরপরেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে।