Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeজেলার খবরবাঁকুড়ায় সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে

বাঁকুড়ায় সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীর তৃণমূলে যোগদানকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে

Follow Us :

বাঁকুড়া: ফের সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থী যোগ দিলেন তৃণমূলে। আর এই যোগদানকে ঘিরেই শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। দলবদলের ঘটনা অব্যাহত বাঁকুড়ায়। তৃণমূল সভাপতির হাত ধরে দুই পৃথক পঞ্চায়েতের সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীর যোগদান। এর ফলে ত্রিশঙ্কু থাকা একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে একধাপ এগোল তৃণমূল। আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আরও একটি ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতে শক্তিবৃদ্ধি হল তৃণমূলের। আর এই যোগদানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় জঙ্গলমহলের রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের জয়ী প্রার্থী ও অন্যদিকে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জয়ী নির্দল প্রার্থী ধরলেন তৃণমূলের পতাকা। কেঞ্জাকুড়া গ্রামপঞ্চায়েতের এবার ফলাফল ছিল ত্রিশঙ্কু। ফল ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায় জয়ী এক কংগ্রেস প্রার্থী তৃনমূলে যোগ দেওয়ায় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন তৃণমূলের দখলে যায়। এর ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় শাসকদল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও মোলবনা গ্রাম সংসদ থেকে নির্দল হিসাবে জয়ী দীনেশ ভুঁই শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দেন। এর জেরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধি ঘটে। 

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে বিজেপি প্রার্থী কেনার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

দল বদল করা নির্দল প্রার্থীর দাবি, তিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্য্যন্ত  বিজেপির টিকিটে জিতে পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তৎকালীন বিজেপি পরিচালিত কেঞ্জাকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার বার  সরব হয়েছিলেন তিনি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে  এবার নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এলাকায় মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। এলাকার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন বলে জানান দীনেশ। এ বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে ওই প্রার্থীর গোপন সম্পর্ক ছিল বলেই তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নির্দল হিসেবে লড়াই করার সূযোগ করে এখন যোগদান করাচ্ছে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। 

অন্যদিকে শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের জয়ী প্রার্থী প্রসাদ নামহাতা ধরলেন তৃণমূলের পতাকা।  এই পঞ্চায়েতে ১৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৬টি, সিপিএম ১টি, নির্দল ৪টি ও বিজেপি ৩টি করে আসন পায়। এর ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ে। প্রসাদ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃনমূলের মোট আসন দাঁড়াল ৭। তৃণমূলের দাবি, এরফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে একধাপ এগিয়ে গেল তৃণমূল। 

দলবদল করা ওই সিপিএম প্রার্থীর দাবি, উন্নয়নের স্বার্থে তিনি দলবদল করেছেন। এদিকে এই যোগদানকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সিপিএম। তাদের দাবি, তৃণমূল নিয়মিত ভয় দেখিয়ে ওই সিপিএম সদস্যকে যোগদান করতে বাধ্য করেছে। যদিও ভয় দেখানোর প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছে জেলা তৃমমূল নেতৃত্ব।

RELATED ARTICLES

Most Popular