লন্ডন: সাংবাদিকতার (Journalism) জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানিত হলেন উইকিলিকস (Wikiliks) খ্যাত জেলবন্দি (Jailed) জার্নালিস্ট (Journalist) জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange)। তাঁর হয়ে সেই পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে আবেগঘন (Imotional) টুইট করলেন হুইশল ব্লোয়ার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ (Stella Assange)। শনিবার তিনি বলেন, আমার স্বামীকে আমেরিকায় (US) যেন প্রত্যর্পণ (Extradition) না করা হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা উচিত। ব্রিটেনের মন্ত্রীদের (Britain Minister) এক্ষেত্রে তা রক্ষা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। কারণ, আমেরিকায় তাঁর বিচার হবে না। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তার মামলায় কেউ জয়ী হয়নি।
ইরাক (Iraq) ও আফগানিস্তান (Afganistan) যুদ্ধের গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন অ্যাসাঞ্জ। সেখানকার যুদ্ধাপরাধের কথা তুলে ধরেন। যা আমেরিকা গোপন রাখতে চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে তিনি তা ফাঁস করেছিলেন ২০১০ সালে। সেই অপরাধে তিনি জেলবন্দি। ইকুয়েডরের দূতাবাসে থাকার পর ইংল্যান্ডে বেলমার্শ (Belmarsh) জেলে ২০১৯ সালে কড়া নিরাপত্তায় বন্দি রয়েছেন তিনি। বন্দি থাকা অবস্থাতেই এই বছর জুন মাসে বিয়ে করেন তাঁর অনুরাগী আইনজীবী (Lawyer) স্টেলা অ্যাসাঞ্জকে। ব্রিটেনের নিম্ন আদালত তাঁকে প্রত্যর্পণ না করার পক্ষে রায় দিয়েছিল। পরে হাইকোর্ট প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দেয়। গত জুন মাসে ব্রিটেনের সেসময়ের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি পটেল প্রত্যর্পণের অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: Jordan: জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জের, নাগরিক আন্দোলনে উত্তাল জর্ডন
মানবাধিকার (Human Rights) রক্ষা ও চিন্তার স্বাধীনতার (Freedom Of Thinking) ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার শাখারভ (Sakharov) পুরস্কার পাচ্ছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এবছর। যে পুরস্কার প্রথমবার ১৯৮৮ সালে পেয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা (Nelson Mandela)। গতবছর ওই পুরস্কার (Award) পান জেলবন্দি রাশিয়ায় (Russia) দুর্নীতি বিরোধী রাজনীতির মুখ অ্যালেক্সেই নাভালনি (Alexei Navalny)। স্টেলা লেখেন, জুলিয়ানের হয়ে ফ্রান্সের স্ট্র্যাসবার্গে (Strasbourg) এই পুরস্কার আমি নিতে যাব। তাঁর জন্য লড়াই চালিয়ে যাব আমি। এটা আমার পরিবারের জন্য লড়াই। আমাদের দুই ছেলের বাবার সঙ্গে বেড়ে ওঠার লড়াই। এটা বিচারের (Justice) জন্যও লড়াই। মুক্ত সমাজে (Free Society) বাঁচার জন্য লড়াই। স্বামীর বক্তব্য তুলে ধরে বলতে পারি, বিচার পেতে গেলে অবিচারকে তুলে ধরতে হয়। সেখানেই আমার প্রশ্ন, আর কতদিন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিচারের জন্য আমাদেরকে লড়তে (Fight) হবে ?
উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক ইউনিয়নও তাঁর মুক্তির দাবি তুলেছে। তাছাড়া নিউইয়র্ক টাইমস, দ্য গার্ডিয়ানের মতো খ্যাতনামা সংবাদপত্রও অ্যাসাঞ্জের মুক্তির দাবিতে সরব।