রোম: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) যুদ্ধের প্রভাব কম বেশি সব দেশেই পড়েছে। যুদ্ধের জেরে ইউরোপের (Europe) অনেক দেশ রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করতে অনীহা দেখিয়েছে। যার প্রভাবে চাপ পড়ছে সেখানকার অর্থনীতিতেও। শুক্রবার প্রকাশিত ইতালির আগামী বাজেটে দেখা গিয়েছে ঘাটতি (Deficit) বাড়ছে। ইতালি রাশিয়া থেকে ৪০ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas) আমদানি করে। সেই গ্যাস থেকে সেখানে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। তা না থাকায় ডিজেলের দামও চড়া হয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন মৎস্যজীবী সহ সেখানকার বাসিন্দারা। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিওর্জিয়া মেলোনি (Georgia Meloni) ইউক্রেনের ঘোর সমর্থক। তিনি ভোটে নেমেও সাফ জানিয়েছিলেন, যাঁরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা তার সঙ্গে আসতে পারেন। এর আগের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) বার্লুসকোনি পুতিনের বন্ধু ছিলেন।
এখন ইতালিতে শক্তি বা এনার্জি (Italy) ঘাটতি হচ্ছে। সেখান থেকে ইতালিবাসীকে স্বস্তি দিতে এবার একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা বাজেটে জানিয়েছেন মেলোনি। ২১ বিলিয়ন ইউরো বাজেট (Budget) বরাদ্দ করেছেন কর (Tax) কাঠামোর নতুন বিন্যাসে। যার ফলে বাজেট ঘাটতি ৩.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৫ শতাংশ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: US: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ কূটনীতিক হিসেবে মনোনীত হযেছেন রিচার্ড ভার্মা
সংসদের বাজেট অধিবেশনে আস্থা ভোটে শুক্রবার জয় পেয়েছে ইতালি সরকার (Italy Government)। নিম্নকক্ষ চেম্বার অফ ডেপুটিজে (Chamber OF Deputies) ভোটাভুটিতে ডানপন্থী জোট সরকার ২২১-১৫২ ভোটে জয়ী হয়েছে। সরকার চাইছে উচ্চকক্ষ সেনেটে তা পাশ করিয়ে এবছর শেষ হওয়ার আগে তাকে আইনি রূপ দিতে। তবে সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা (Opposition)। তাদের বক্তব্য, বাজেট মূল্যায়ন করার জন্যও সরকার সময় দেয়নি। ইতালি সরকারের অবশ্য বক্তব্য, অক্টোবরের শেষে তারা দায়িত্ব নিয়েছে। ফলে হাতে একেবারে সময় ছিল না।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী লুকা সিরিয়ানি বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজেট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তা নাহলে সরকার ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিরোধী দলের নেতা এনরিকো লেট্টা বলেন, সংসদে যেটা হয়েছে তাতে ডানপন্থী দল প্রস্তুত ছিল না।