দামাস্কাস: কয়েকমাস ধরে চলা সিরিয়া-তুরস্ক বিবাদ মেটানো ইরানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য৷ ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান সম্প্রতি সিরিয়া সফরে গিয়ে এই আভাসই দিয়েছেন৷ আবদুল্লাহিয়ানের কথায়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অন্যতম কাছের বন্ধু ইরান৷ তুরস্কের দিক থেকেও ইরান একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যের অংশীদার৷ ফলে দুই রাষ্ট্রের ‘বন্ধুত্ব’ স্থাপন ইরানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ৷
বিশ্বের নজর যখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উপর তখন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল তুরস্ক৷ মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থাপনে আঙ্কারার পূর্ব ইউরোপে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে৷ সিরিয়া সীমান্তের ৩০ কিমি পর্যন্ত দখল করাই তুরস্কের লক্ষ্য বলেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে খবর৷ ঠিক এই পরিস্থিতিতে হোসেন আমিরের মধ্যস্থতা স্থাপনের মন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক বাতাবরণকে নতুন মাত্রা দিয়েছে৷ কুর্দ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তুরস্ক-ইরান উভয় দেশই অভিযান চালাচ্ছে৷ সিরিয়ায় ২০১১ সালে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর যা দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল৷ এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক-সিরিয়ার কূটনৈতিক যুদ্ধ সামরিক যুদ্ধে পরিণত হয়৷
আরও পড়ুন: Argentina Crisis: দেশে অর্থনীতির ভরাডুবি, ইস্তফা আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রীর