কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: ফের বোমা ফাটালেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, তখন শাসক শিবির থেকে ঘৃণা ও নিন্দার বিষ উদ্গীরণ করে বিস্ফোরক কবিতা লিখেছেন দেবাংশু। টুইট দুনিয়ায় সেই কবিতা সংক্রমিত হওয়ার পর থেকেই নানা মুনির নানা মত মিলেছে।
কী লিখেছেন দেবাংশু?
আরও পড়ুন: WB By Election 2022 Live: কড়া নিরাপত্তায় শুরু বালিগঞ্জ, আসানসোলে উপনির্বাচন
‘অনেকটা ব্যথা আর কষ্টের একফালি,
দেহময় লজ্জার সবটাই হাঁসখালি।
বেঁচে ওঠ বোন আমার, বাকি আছে কত স্বাদ
জেগে উঠে জোরে বল, ‘পচে মর জল্লাদ’।’
হাঁসখালির ধর্ষণ ও মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সোমবারই কলকাতার মিলনমেলা প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়েও বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পর দেবাংশুর এহেন বিবেক-জাগরণের কবিতা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।
এর আগে হাথরস নিয়ে দেবাংশু যে লেখা লিখেছিলেন, তা নিয়ে টুইট সমাজ তাঁকে বিদ্ধ করতে ছাড়েনি। বিশেষত এই কবিতায় তাঁর কথাগুলি যে শাসকদলের পক্ষে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়, তাও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। আমার বাংলা সইবে না, ইউপি বিহার হইবে না…বলা তৃণমূল শিবিরের এক নেতা যে হাঁসখালির ঘটনাকে দেহময় লজ্জার বলে বর্ণনা করবেন, সেটাই সকলের কাছে বিস্ময়ের কারণ হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মৃত নাবালিকাকে বোন বলে সম্বোধন করে তাকে পুনর্জীবন নিয়ে এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছেন দেবাংশু। এখানে অপরাধীকে দেবাংশু জল্লাদ বলে ডেকেছেন। এখানেই বিতর্কটি জমে উঠেছে। কারণ, হাঁসখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার মূল অভিযুক্তই হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। তাহলে কি নিজের দলের লোককেই জল্লাদ বলে মনে করছেন দেবাংশু!