লখনউ: বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক (BSP MLA Murder Case) খুনের অন্যতম সাক্ষীকে গুলি করে মারার মূল অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে (Encounter) খতম করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (UP Police)। সোমবার পুলিশ এনকাউন্টারের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বসপা বিধায়ক রাজু পালকে খুন করা হয়। সেই খুনের অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল নামে একজন। এদিনের এনকাউন্টার যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের খতম করার প্রথম ঘটনা। এর আগে খুনে ব্যবহৃত এসইউভি গাড়ির চালককে এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ।
গত মাসে উমেশ পালকে খুব কাছ থেকে গুলি করে ৬ দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। উমেশ পালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২ পুলিশ কর্মীও গুলিতে মারা যান। সেই খুনে জড়িত ছিল উসমান নামে এই দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: Manish Sisodia: সিসোদিয়াকে দুপুরে আদালতে তোলা হবে, ‘মানসিক যন্ত্রণা’ দিচ্ছে সিবিআই
উমেশ পাল খুনের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সে সময়। যা দেখে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দিনের আলোয় রাস্তার উপর এহেন শিহরণ জাগানো হত্যাকাণ্ড দেখে বিরোধীরা সরব হওয়ায় রাজ্য সরকার নড়েচড়ে বসে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath) বলেছিলেন, এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা শলাওমণি ত্রিপাঠি এদিন সকালে টুইট করে লেখেন, আমরা বলেছিলাম দোষীদের দুরমুশ করব। উমেশ পালকে যে দুষ্কৃতী প্রথম গুলি করেছিল, এনকাউন্টারে সে খতম হয়েছে।
প্রয়াগরাজ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার বদ্রীবিশাল সিং জানিয়েছেন, উসমান মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা পরীক্ষা করে দেখে দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত, বসপা বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডে উমেশ পাল অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। এলাহাবাদ পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন সমাজবাদী এমপি আতিক আহমেদের ভাই খালিদ আজিমকে হারিয়ে বিধায়ক হন তিনি। উল্লেখ্য, রাজু পাল হত্যাকাণ্ডে আতিক আহমেদ এবং তার ভাই প্রাক্তন বিধায়ক আশরাফ এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এবং বর্তমানে জেলে রয়েছে।
সাক্ষী খুনের ঘটনায় বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, আতিক আহমেদ সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের ঘনিষ্ঠ। তাঁর সরকার রাজ্যে ফের নতুন করে মাফিয়ারাজ চালাতে দেবে না।