
নয়াদিল্লি: বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে বুধবার সকালে কংগ্রেস (Congress) ছাড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির (AK Antony) ছেলে অনিল কে অ্যান্টনি (Anil K Antony)। অনিলের একটি টুইটকে ঘিরে ‘অসহনীয়’ ফোন, হোয়াটস অ্যাপ ও সোশাল মিডিয়ায় কটু মন্তব্য, কুকথা ও হুমকির প্রতিবাদে তাঁর এই পদত্যাগ। এদিকে, মঙ্গলবার রাতেই মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় এপিসোড সম্প্রচার করে বিবিসি। যেখানে মোদিকে ‘ভয়ানক বিভাজনকারী’ বলে দেখানো হয়েছে। মোদির নতুন ভারত ধর্মীয় অশান্তিতে রয়েছে বলেও প্রমাণ করার চেষ্টা হয়েছে।
I have resigned from my roles in @incindia @INCKerala.Intolerant calls to retract a tweet,by those fighting for free speech.I refused. @facebook wall of hate/abuses by ones supporting a trek to promote love! Hypocrisy thy name is! Life goes on. Redacted resignation letter below. pic.twitter.com/0i8QpNIoXW
— Anil K Antony (@anilkantony) January 25, 2023
বিবিসির তথ্যচিত্রকে বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করার পরই অনিল অ্যান্টনির উপর রে রে করে ওঠে কংগ্রেসসহ কেরলের বিভিন্ন বিজেপি-বিরোধী দল। কেরল কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অনিল এদিন সকালে তাঁর ইস্তফাপত্র দিয়ে টুইট করেন। তাতে তিনি রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রাকে (Rahul Gandhi’s Bharat Jodo Yatra) কটাক্ষ করে লিখেছেন, প্রেমের ফেরি করতে গিয়ে কেউ কেউ অপমান করছে। তিনি বলেছেন, তাঁকে অসংখ্য হুমকি ফোন পেয়েছেন। ঘৃণা-বিদ্বেষমূলক মেসেজ এসেছে তাঁর কাছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এরকম অনেক কিছু ঘটেছে। যার মধ্যে অনেকগুলিই কংগ্রেস শিবির থেকে এসেছে। যা আমাকে আঘাত দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: নাম না করে অমর্ত্যকে খোঁচা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের
দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দেগে তিনি বলেন, এখন আমি আপনাদের সকলকে চিনে গিয়েছি। দলের নেতৃত্বের পিছন পিছন এখন যারা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তারা আসলে বন্ধুর বেশে চামচার দল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অনিল অ্যান্টনি একটি টুইটে ব্রিটিশ সরকারি চ্যানেল বিবিসিকে এই তথ্যচিত্রের জন্য একহাত নিয়েছিলেন। অনিলের বক্তব্য ছিল, বিবিসি অতীতেও ভারত বিরোধী এরকম অনেক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে। ভারত সম্পর্কে ওদের প্রথম থেকেই একটা নাক উঁচু মনোভাব রয়েছে।
Despite large differences with BJP, I think those in ?? placing views of BBC, a ?? state sponsored channel with a long history of ?? prejudices,and of Jack Straw, the brain behind the Iraq war, over ?? institutions is setting a dangerous precedence,will undermine our sovereignty.
— Anil K Antony (@anilkantony) January 24, 2023
অনিলের এই মন্তব্য আসলে কংগ্রেস নেতৃত্বের পছন্দ হয়নি। কেরল কংগ্রেস আগেভাগেই বলে রেখেছিল, এই তথ্যচিত্র রাজ্যজুড়ে দেখানো হবে। ঔপনিবেশিক মনোভাবের এই তথ্যচিত্র বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এটা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। এনডিটিভিকে অনিল বলেছেন, কংগ্রেসের কারও সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও বিদেশি বিশেষত যারা আমাদের দেশ শাসন করত, তাদের ভালো-মন্দের সার্টিফিকেট নিয়ে কী যায়-আসে? তাদের কথা মানতে গেলে তো আমাদের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে হবে এবং তাদের কথায় চলতে হবে।