কলকাতা: দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক। তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখ খুলেন, অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। যাদবপুর-কাণ্ডে উঠে এসেছে ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদারের (Aritra Majumder) ওরফে আলুর নাম। ছাত্র মৃত্যুর জেরে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলু জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু সংবাদমাধ্যমকে জানান, তদন্তের স্বার্থে ইনকোয়ারি কমিটিকে যা বলার বলেছি। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক যারা দোষী তাদের শাস্তি হোক। কমিটি আমার কাছ থেকে যা যা তথ্য চেয়েছে সবটাই দিয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
৯ অগাস্ট হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ডে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের। এই ঘটনার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না আলুর। মঙ্গলবার সকালেই ফেসবুক পোস্ট করে নিজেকে নির্দোষ বলেন। এও দাবি করেন, যে কোনও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। সন্ধ্যায় যাদবপুর থানায় যান ছাত্রমৃত্যুতে সন্দেহভাজন অরিত্র ওরফে আলু। সূত্রের খবর, যাদবপুর থানার তরফে তলব করা হয়েছিল এই ছাত্র নেতাকে। এদিকে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র চট্টপাধ্যায়কেও তলব করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিজোরামের নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে মৃত রতুয়ার ১৫ জন শ্রমিক
আলু দাবি করেছিল, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনও ভাবে তিনি যুক্ত নন। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলে যাননি। ১১ অগাস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটেন্ডেন্স রেজিস্ট্রারে সই করেছিলেন অরিত্র ওরফে আলু। ১১ তারিখে রেজিস্টারে সই এল কী ভাবে? সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, একসঙ্গে তিন দিনের সই করতে গিয়ে ভুল করে ১১ তারিখের ঘরে সই করে ফেলেছিলেন।
ছাত্রদের উপর অত্যাচার হত তা পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন যাদবপুরের ক্যান্টিনের রাঁধুনি। ক্যান্টিনেরই আরও পাঁচ কর্মচারীকে থানায় ডেকে পাঠাল পুলিশ। বুধবারই তাঁদের যাদবপুর থানায় আসতে বলা হয়েছে। ক্যান্টিন থেকে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নতুন তথ্য খুঁজে পেতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ বলে মনে করা হচ্ছে।