নয়াদিল্লি: শ্রীনগরে কোন মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তা জানতে চেয়ে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল। ওই নোটিসে (Notice) বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধী যৌন নির্যাতনের (Sexual Abuse) শিকার হওয়া মহিলাদের তথ্য জানালে,পুলিশ (Police) তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারে।
‘ভারত জোড়ো যাত্রার’ (Bharat Jodo Yatra) সমাপ্তি পর্বে শ্রীনগরে পৌঁছে রাহুল জানান, এখানে আসার পথে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। রাহুল তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি পুলিশকে জানাননি কেন? ওই তরুণী কংগ্রেস নেতাকে বলেন, পুলিশকে জানালে আমার লজ্জা আরও বাড়ত। সমাজে মুখ দেখানোর উপায় থাকত না।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee | ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মমতা, বৈঠক হতে পারে নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশের এক বিশাল বাহিনী রাহুলের দিল্লির বাড়িতে যায় । পুলিশ রাহুলকে নোটিস ধরায়। তাতে রাহুলের ওই মন্তব্য উল্লেখ করে, পুলিশ তরুণীটির সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছে। রাহুল সেই নোটিসের জবাব দেবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি ও গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার জেরবার হয়ে যাচ্ছে। তাই যেভাবেই হোক রাহুলকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। দিল্লি পুলিশের এই নোটিস দেওয়ার পিছনেও বিজেপির নোংরা রাজনীতি রয়েছে। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, যথা সময় ওই চিঠির জবাব দেওয়া হবে। তবে ভাবতে অবাক লাগছে, ৪৫ দিন আগের একটি ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশ এখন রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠাচ্ছে । এর থেকেই বোঝা যায়, বিজেপি কী ধরনের নিচুমানের রাজনীতি করে।
লন্ডনে রাহুলের ভাষণ নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করতে চাইছে, তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাহুল গান্ধী ভারতের লোকসভাকে অপমান করেছেন, এই অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিজেপি গত কয়েকদিন ধরে সংসদে হইচই করছে। খোদ মন্ত্রীরা পর্যন্ত সংসদে এই দাবিতে, স্লোগান দিচ্ছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে। দু’পক্ষের এই হইহল্লার ফলে এই সপ্তাহের শুরু থেকেই সংসদের অধিবেশন কার্যত অছল হয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আর কিছু না পেয়ে, বিজেপি এবার শ্রীনগরে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে। দলের এক নেতা বলেন, আসলে আদানি কাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিজেপির এই কৌশল।