নয়াদিল্লি: ভারত সরকার গত ২০ জুলাই অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং আসন্ন উৎসবের মরসুমে খুচরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নন-বাসমতি চাল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। ভারত থেকে যে চাল রফতানি করা হয় তার মধ্যে ২৫ শতাংশই নন-বাসমতি। খাদ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখনই নন-বাসমতি চাল এবং বাসমতি চালের রফতানি নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না।
অভ্যন্তরীণ বাজারে নন-বাসমতি সাদা চালের পর্যাপ্ত প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে এবং স্থানীয় মূল্যবৃদ্ধি কমাতেই এই রফতানি নীতি চালু করেছে ভারত সরকার। বর্তমান পরিবেশে এই ধরনের বিধিনিষেধ বিশ্বের বাকি অংশে খাদ্যের দামের অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) প্রধান অর্থনীতিবিদ অলিভিয়ের গৌরিঞ্চাস এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, তারা প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Sukanta Mahavidyalaya | বহিরাগতদের দারা অপমানিত কলেজের অধ্যক্ষ, প্রতিবাদ শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের
২০২২-২৩ সালে ভারত থেকে মোট ৯ কোটি টাকা মূল্যের নন-বাসমতি চালের রফতানি হয়েছিল। আমেরিকা, থাইল্যান্ড, ইতালি, স্পেন এবং শ্রীলঙ্কাতে মূলত এই চাল রফতানি হত। সূত্রের খবর, দেশের প্রধান ধান উৎপাদনকারী এলাকাগুলিতে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয়েছে। ফলে চলতি বছরে এদেশে ধানের ফলন কম হবে। একদিনেই নন-বাসমতি এবং বাসমতি চালের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তীতে আরও বেহাল অবস্থায় সম্মুখীন হতে পারেন ভারতবাসী। রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা এই সম্ভাবনাকে হ্রাস করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।