নয়াদিল্লি: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Scam) এবার সিউড়ি থানার ওসি মহম্মদ আলিকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আগামী ২৫ মার্চ অর্থাৎ শনিবার তাঁকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, ইনকাম ট্যাক্স (Income Tax) সহ তাঁর সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এর আগে এই মামলায় সিউড়ি থানার ওসিকে সিবিআই (CBI) তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এবার ইডির স্ক্যানারে সিউড়ি থানার ওসি মহম্মদ আলি (OC of Suri Police Station MD Ali)।
মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে ১৩ দিন জেল হেফাজতে (Jail Custody) রাখার নির্দেশ দিয়েছে।আদালত অনুব্রতর জন্য একজন অনুবাদক (Translator) রাখার অনুমতি দিয়েছে। কারণ তিনি হিন্দি (Hindi) জানেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই আদালত অনুবাদক রাখার কথা বলেছে। জেল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ ওই অনুবাদকের ব্যবস্থা করবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। এদিন সন্ধ্যাতেই ইডি অনুব্রতকে কোর্ট লকআপে (Court lockup) পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: Shantanu Banerjee | ৫ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ শান্তনুকে
আদালত সূত্রের খবর, গত তিনদিন ধরে তৃণমূল নেতা শ্বাসকষ্টে (Breathing Trouble) ভুগছেন। ডাক্তারদের পরামর্শমতো তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হবে দরকার পড়লে। জেল হাসপাতালে সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুব্রতর জন্য কমোডের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।গতকাল অনুব্রতর ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদিন মেডিক্যাল চেকআপের পর ইডির অফিসাররা সদর দফতরে কিছুক্ষণ জেরা করেন। তারপর তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। ইডি এদিন আর তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে রাখার আবেদন করেনি।
তিহার জেলেই রয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক।
চলতি সপ্তাহেই অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বোলপুরের কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে ২০ মার্চের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৫ তারিখের পর সোমবারও হাজিরা এড়িয়েছেন।তৃতীয়বারের জন্য ফের তাঁকে তলব করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর। এবারও তলব এড়ালে ইডি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
ইডি এর আগে মণীশকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। মণীশ জেরায় জানিয়েছেন, অনুব্রতর চাপে মণীশ তাঁর কিছু সম্পত্তি লিখে দিতে বাধ্য হয়েছেন। একজন প্রাথমিক শিক্ষিকা হয়ে সুকন্যা অল্প কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক কোটি টাকার মালিক হলেন কী করে, তাঁর নামে এত বিপুল জমি, একাধিক ফ্ল্যাট হল কী করে, সে সব জানতে চায় ইডি। এর আগে তাঁকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সম্পত্তির ব্যাপারে। সুকন্যা দাবি করেছিলেন, তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন বাবা।