নয়াদিল্লি: অবমাননাকর মন্তব্য নিয়ে রাজনীতির জল বিপরীত স্রোতেও বইতে শুরু করল। রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার পরদিনই শুক্রবার কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী (Congress Leader Renuka Chowdhury) জানিয়েছেন হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi)। রেণুকা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তিনিও অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য অভিযোগ দায়ের (Defamation Case) করতে চলেছেন। ২০১৮ সালে সংসদে রেণুকাকে ‘শূর্পনখা’ (Surpanakha) বলে কটাক্ষ করেছিলেন মোদি। এদিন সকালে এক টুইটে রেণুকা লিখেছেন, এখন দেখব কত তাড়াতাড়ি আদালত পদক্ষেপ করে?
রেণুকা তাঁর টুইটে সংসদে সেদিন মোদির মন্তব্যের অংশটুকু জুড়ে দিয়েছেন। যেখানে মোদি রামায়ণের শূর্পনখা চরিত্রের সঙ্গে তাঁর তুলনা টেনেছিলেন। রেণুকা লিখেছেন, এ ধরনের নীচ ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যক্তি সভার মাঝে আমাকে শূর্পনখার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। এবার দেখতে চাই, আদালত কত দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
আরও পড়ুন: Cattle Scam | গরুপাচার কাণ্ডে এবার ইডির তলব সিউড়ি থানার ওসিকে, শনিবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ
‘মোদি’ (PM Narendra Modi) পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস (Congress MP) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত করে সুরাতের (Surat) আদালত (Court)। একইসঙ্গে রাহুলের ২ বছরের কারাবাসের সাজাও ঘোষণা করে আদালত। যদিও গতকালই আদালতে উপস্থিত রাহুলকে জামিন দেয় আদালত। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে আপিল আদালতে আবেদনের কথা জানিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুলকে এই মামলায় দোষী (Convicted) ঘোষণা করে আদালত। অভিযোগ ছিল, রাহুল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদবি নিয়ে অপমানজনক কথা বলেছেন। রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, কী করে সব চোরের পদবি মোদি হয়? এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০০ (IPC 499 and 500) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে রাহুলকে। যে ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে ২ বছরের কারাবাস।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন? আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদি, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় পলাতক নীরব মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তুলনা টেনে এই কটাক্ষ করেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল।
কিন্তু, এই রায় নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন দাবি উঠছে। কেউ বলছেন, অতীতে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদিও আর একটি পক্ষের মত হচ্ছে, রাহুল গান্ধীকে আদালত ৩০ দিনের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি আপিল আদালতে আবেদন করে এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ নিতে পারেন।