নয়াদিল্লি: অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের (Food Inflation) দাম কমানোর দিকেই নজর থাকুক কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2023) প্রস্তাবে। শিল্প ও বণিক সংগঠনগুলির মতে, এটা হতে পারে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে একটি দক্ষ কাঠামো গঠন করলে। খাদ্যদ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি রুখতে একটি কৌশল রূপায়ক দল গঠনের উপরেও জোর দিতে হবে। বণিক সংগঠন ফিকি (FICCI) প্রাক-বাজেট ২০২৩ সুপারিশে আরও বলেছে, খুব কম সময়ের মধ্যে শক্তিশালী ওই দলের হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা সঁপে দিতে হবে। যারা সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করবে।
সুপারিশে ফিকি এও বলেছে, ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার শক্তই রয়েছে। তা সত্ত্বেও যেহেতু জ্বালানি তেলে আমাদের দেশ আমদানি নির্ভর, তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে অপরিশোধিত তেলের বাজারে দামবৃদ্ধির ফল পড়েছে এখানেও। ফিকি বলেছে, আমরা আশা করি বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকার নিশ্চই অবহিত আছে। সে কারণে আমাদের আশা, কেন্দ্রীয় বাজেট কেবলমাত্র বণিক মহলের আশা পূরণ করবে, তাই নয়, এই কঠিন পরীক্ষার মধ্যেও আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ানোর উপযোগী প্রস্তাব আনবে।
আরও পড়ুন: Adani Group Update: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস
স্পাইস মানির মালিক দিলীপ মোদি জানান, আমরা আশা করি আসন্ন বাজেটে কর ছাড়ের প্রস্তাব আসবে। যার ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপকার হবে। এতে গ্রামীণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে আর্থিক পরিষেবা দেওয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, পিএমজিকেএওয়াই (PMGKYK) বা বিনামূল্যে খাদ্যশস্য প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, একইসঙ্গে সার ও পেট্রলিয়ামে ভরতুকি কমাতে পারে সরকার।
অ্যাসোচেম-এর (ASSOCHAM) সাধারণ সচিব দীপক সুদ মনে করেন, করছাড়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে নগদ আমদানির ব্যবস্থা করলে আর্থিক বৃদ্ধির উন্নতি সম্ভব হবে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের হাতে ক্রয়ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। একদিকে যখন করদাতারা আশার পাহাড় গড়ছেন, তখন কিন্তু নিরাশার কথা শোনাচ্ছেন কর ও অর্থ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, অন্তত এ বছর কর কাঠামোয় বিশেষ কোনও পরিবর্তন আসবে না। তাঁদের একজন বলেন, আমরা মনে করি না ছাড়ের ক্ষেত্রে বিরাট কোনও বদল হবে।