শিলিগুড়ি: পুলিশ অনুমতি না-দিলেও শিলিগুড়ির এয়ারভিউ মোড়ে জনস্রোতের মিলিত কণ্ঠে হারিয়ে যাচ্ছিল রাহুল গান্ধীর ভাষণ। গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপি সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। দেশজুড়ে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে ঘৃণা দিয়ে দেশের কোনও উপকার হচ্ছে না। মাত্র মিনিট ১৫-র ভাষণ শেষ করেন একটি কথা দিয়ে। তা হল ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান। কাকে বললেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ?
উল্লেখ্য, এদিন রাহুলকে জনসভা করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ-প্রশাসন। রাহুল এদিন শিলিগুড়িতে রোড শো শুরু করেন বিকেল ৫টা নাগাদ। শিলিগুড়ির থানা মোড় থেকে রোড শো গিয়ে শেষ হয় এয়ারভিউ মোড়ে। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রায় এদিন দেখা যায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জীবেশ সরকারকেও। তিনি বলেন, তাঁর দল ন্যায়যাত্রাকে সমর্থন করে। বিজেপির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর লড়াইকে তাঁরা সমর্থন করেন।
আরও পড়ুন: বিহারে এনডিএ জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নীতীশের
রাহুল আরও বলেন, দেশে যুব শ্রেণির হাতে কাজ নেই। আদিবাসী ভাইদের কোনও অধিকার নেই। ছোট থেকেই অনেকের মনে স্বপ্ন থাকে, সে বড় হয়ে সেনাবাহিনী বা আধা সামরিক বাহিনীতে যাবে। এইভাবে কঠোর শ্রমের মাধ্যমে তাঁরা বাহিনীতে যোগ দিতেন। কিন্তু সেখানে একটা নিশ্চয়তা ছিল। চাকরির নিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু আজ অগ্নিবীর প্রকল্পে যদি কেউ শহীদ হয়, তাহলে তার দায়িত্ব সরকার নিচ্ছে না। এমনকী চার বছর সেনায় থাকার পরেও চাকরির কোনও গ্যারান্টি নেই। আজ রাতের মতো যাত্রা শিলিগুড়িতে বিশ্রাম নেবে। আগামিকাল উত্তর দিনাজপুর হয়ে বিহারে ঢুকে যাবে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা।
বাঙালির বুদ্ধি, শিক্ষা ও দূরদর্শিতার প্রশংসা করেন রাহুল। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির যে চিন্তামনস্কতা তা ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাজে লেগেছিল। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সেই আদর্শগত লড়াই আজ আপনাদেরও করে দেখানোর সময় এসেছে। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ যা করে দেখিয়েছেন, তা আপনাদের সকলের ভিতরে আছে। ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াই করে ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ আপনারা করবেন, এই বিশ্বাস আমার আছে।
অন্য় খবর দেখুন