Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeলিডকল্পনার দ্বিতীয় প্রতিযোগী 'ঝাড়খণ্ড টাইগার', হেমন্তর প্রথম পছন্দ স্ত্রী

কল্পনার দ্বিতীয় প্রতিযোগী ‘ঝাড়খণ্ড টাইগার’, হেমন্তর প্রথম পছন্দ স্ত্রী

ইডির জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, গ্রেফতার হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী?

Follow Us :

রাঁচি: ঠিক দুপুর দেড়টায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে যায় ইডি। রাঁচি এবং দিল্লি মিলিয়ে মোট ৭ জনের একটি দল জমি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তার আগে এদিন সকালে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি বিধায়কদের দুটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারে আরজেডির রয়েছে মাত্র একটি আসন এবং কংগ্রেসের মাত্র ১৭টি। ফলে এদিন কারও পক্ষেই হেমন্ত সোরেন এবং জেএমএমের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া সম্ভব ছিল না।

হেমন্ত সোরেন যদি গ্রেফতার হন, তাহলে রাজ্যের পরবর্তী রাজধর্ম কে পালন করবেন, তা ঠিক করে দিয়েছেন হেমন্ত স্বয়ং। প্রথমজন হলেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। যাঁকে নিয়ে গত দুদিন ধরে চর্চা চলছে। দ্বিতীয় আরেকটি নাম বুধবার থেকে উঠে এসেছে। তিনি হলেন ‘ঝাড়খণ্ড টাইগার’ নামে জনপ্রিয় বর্ষীয়ান জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন।

আরও পড়ুন: মমতার ‘ইন্ডিয়া’ নাম নাপসন্দ ছিল নীতীশের

গ্রেফতার হলে হেমন্ত সোরেন ইস্তফা দিতে পারেন, এই সম্ভাবনাই প্রবল। ফলে তাঁর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে যাতে জটিলতা না তৈরি হয়, সে কাজ নিজেই করে দিয়েছেন হেমন্ত। রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ ও বয়সে অনেক ছোট কল্পনা সোরেনকে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করতে পারেন। তাই দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে চম্পাইয়ের নাম নিজেই ঠিক করেন হেমন্ত। তবে প্রথম পছন্দের নামটি অবশ্যই স্ত্রী কল্পনা সোরেন।

কে কল্পনা সোরেন?

একটি জৈব খামার ও স্কুলের মালকিন কল্পনার উপস্থিতি জল্পনাকে আরও উসকে দেয়। কারণ, ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, এই প্রথম বিধায়ক-নেতাদের কোনও বৈঠকে হাজির ছিলেন হেমন্ত-জায়া।

২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পর থেকে এ পর্যন্ত কখনও প্রত্যক্ষ রাজনীতি করতে দেখা যায়নি তাঁকে। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে কল্পনার জন্ম ১৯৭৬ সালে রাঁচিতে। স্বামী হেমন্ত সোরেনের মতো তিনিও কয়েক কোটি টাকার মালকিন।

৪৩ বছরের কল্পনা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর এবং এমবিএ করেছেন। হেমন্ত সোরেনও বাবার মন্ত্রিসভায় খনিমন্ত্রী ছিলেন। হেমন্তর ছোট ভাই বসন্ত সোরেন দলীয় বিধায়ক। কিন্তু রাজনীতিতে একেবারেই অনভিজ্ঞ ও কারও সঙ্গে সদ্ভাব নেই। সে কারণে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানার বিষয়ে দলের ভিতরে-বাইরে আপত্তি ছিল। সে তুলনায় শিক্ষিত, মার্জিত, সুন্দরী সর্বোপরি প্রত্যয়ী কল্পনাকেই জোট শরিকদেরও পছন্দ।

কে ‘ঝাড়খণ্ড টাইগার’ চম্পাই সোরেন?

অর্জুন মুন্ডার আমল থেকে চম্পাই সোরেন ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী। খোদ হেমন্ত সোরেনও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। বহুবার চম্পাইকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন হেমন্ত এমন ছবিও দেখা গিয়েছে। ফলে দল এবং মন্ত্রিসভায় তাঁর অবস্থান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সবাই তাঁকে মানেন।

সরাইকেলার বিধায়ক চম্পাই কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদে ভেসে উঠল। ১৯৯১ সালে প্রথম তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। উপনির্বাচনে তিনি প্রভাবশালী এমপি কৃষ্ণ মারডির স্ত্রীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে দেন। ১৯৯৫ সালে জেএমএমের টিকিটে জয়লাভ করেন। কিন্তু ২০০০-এর নির্বাচনে বিজেপির অনন্তরাম টুডুর কাছে পরাজিত হন।

২০০৫ সাল থেকে সরাইকেলা থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসছেন চম্পাই। তাঁর জন্ম ১৯৫৬ সালে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই সকলের বড়। ম্যাট্রিক পাশ চম্পাইয়ের স্ত্রী মাঙ্কো সোরেন এবং তাঁদের চার ছেলে, তিন মেয়ে রয়েছে।

অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular