নেদারল্যান্ডস–২ কাতার–০
(কোডিগাকপো, ফ্রেঙ্কি দে জং)
সেনেগাল–২ ইকুয়েডর–১
(ইভান সার, কে কৌলিবালি) (কাইসেডো)
যে সেনেগালকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস তাদের বিশ্ব কাপ আভিযান শুরু করেছিল, সেই সেনেগালকে নিয়েই তারা প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে উঠল। মঙ্গলবার এ গ্রুপের দুটো ম্যাচই ছিল একই সময়ে। নেদারল্যান্ডস ২-০ গোলে হারাল কাতারকে। গোল করলেন কোডি গাকপো এবং ফ্রেঙ্কি দে জঙ। এর ফলে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে নেদারল্যান্ডস গ্রুপের এক নম্বর হল। দুই নম্বর হল সেনেগাল। আফ্রিকার দেশটি শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে হারাল ইকোয়েডরকে। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সেনেগালকে এগিয়ে দেন ইভান সার। ৬৭ মিনিটে গোলটি শোধ করে দেন কাইসেডো। তিন মিনিটের মধ্যে কে কৌলিবালি আবার গোল করে সেনেগালকে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সেনেগাল পৌছে গেল শেষ ষোলয়। আর ইকোয়েডর তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে এবারের মতো বিশ্ব কাপ শেষ করল।
নেদারল্যান্ডেসের বিরুদ্ধে কাতারের কিছু পাওয়ার ছিল না। প্রথম দুটো ম্যাচ হেরে গিয়ে তারা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ঘরের দর্শকদের সামনে তারা শুরুতে তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে। কিন্তু মিনিট কুড়ির বেশি তাদের জারিজুরি ছিল না। এর পরেই ম্যাচ ধরে নেয় নেদারল্যান্ডস। ২৬ মিনিটে গোল করেন রাইট উইঙ্গার কোডি গাকপো। এবারের কাপে পি এস ভি আইন্দোভেনের ছেলেটির তিনটি গোল হয়ে গেল। ৪৯ মিনিটে বার্সেলোনার মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি দে জং গোল করে ম্যাচের ফয়সালা করে দেন। আয়োজক দেশ কাতার হেরে গেল তিনটি ম্যাচেই।
সেনেগালের বিরুদ্ধে ড্র করতে পারলেই ইকোয়েডর চলে যেত নক আউটে। আর সেনেগালকে জিততেই হত। ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সার এগিয়ে দেন সেনেগালকে। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয় ইকোয়েডর। এবং গোলটা শোধ করেও দেয়। কাইকাডো গোল করলে ম্যাচ হয়ে যায়। কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে কৌলিবালি গোল করে সেনেগালকে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দেন।