হই হই করে বিশ্ব কাপের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেল ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা ৩-০ গোলে হারাল ইংল্যান্ডকে। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের এক নম্বর দল হয়ে নক আউটে গেল গত বিশ্ব কাপের চতুর্থ স্থান পাওয়া ইংল্যান্ড। বিরতির আগে কোনও গোল হয়নি। ৫০ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড মার্কাস র্যাশফোর্ড। ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল করেন তিনিল এই বিশ্ব কাপে ফ্রি কিক থেকে সরাসরি গোল এই প্রথম। এক মিনিট পরেই ২-০ করেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফিল ফডেন। ৬৮ মিনিটে আবার গোল করেন র্যাশফোর্ড। এবারের টুর্নামেন্টে তাঁর তৃতীয় গোল। এটা বিশ্ব কাপে ইংল্যান্ডের শততম গোলও বটে। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে আমেরিকা ১-০ গোলে হারিয়ে দিল ইরানকে। ৩৮ মিনিটে আমেরিকার ক্যাপ্টেন ক্রিশ্চিয়ান পালিসিচ গোলটি করেন। তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমেরিকাও চলে গেল শেষ ষোলয়। ৩ ডিসেম্বর প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড খেলবে সেনেগালের সঙ্গে। আর সেদিনই নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে আমেরিকা।
ওয়েলশের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড শেষ হেরেছিল ১৯৬৪ সালে। তাই তাদের জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। দেখার ছিল কত গোলে তারা জেতে। ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ বেল সামনের দিকের প্লেয়ারদের নিয়ে একটু পরীক্ষা করেছিলেন। হ্যারি কেনের সঙ্গে তিনি নামান ফিল ফডেন এবং মার্কাস র্যাশফোর্ডকে। বুকোয়া সাকা, রহিম স্টার্লিং কিংবা ম্যাসন মাউন্টদের তিনি নামাননি। সাউথগেটের পরীক্ষা ষোল আনা সফল। নক আউটের আগে সব ফরোয়ার্ডদের দেখে নেওয়া হয়ে গেল তাঁর। অধিনায়ক হ্যারি কেন তিন ম্যাচে গোল পেলেন না। এটা একটু চিন্তায় রাখবে কোচকে। তিন ম্যাচে নয় গোল করল ইংল্যান্ড। তবু কেনের গোল নেই এটা চিন্তার ব্যাপার বই কি।