২০২২ সালের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইউরোপ ও আমেরিকার ৩ বিজ্ঞানী। অ্যালেন অ্যাসপেক্ট, জন ক্লজার ও অ্যান্টন জেলিঙ্গারকে চলতি বছরের জন্য নোবেল প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করা হল। কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিশেষত ফোটন কণার উপর এই তিনজনের যুগান্তকারী আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হচ্ছে নোবেল পুরস্কার। মঙ্গলবার সুইডেনের রাজধানী অসলোয় রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের তরফে পদার্থবিদ্যায় পুরস্কার কাদের দেওয়া হবে সে কথা জানাতে গিয়ে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
পাশাপাশি নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ফোটন এনট্যাংগেলড নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার এই ফলাফলের ভিত্তিতে কোয়ান্টাম তথ্যবিজ্ঞানে নতুন মাত্রা যোগ করলেন তিন বিজ্ঞানী। দুটি কোয়ান্টাম কণা আলাদা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই একক কণা হিসেবে একইরকম আচরণ করে। তাঁদের গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁরা কার্যত যুগান্তকারী গবেষণা করে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই উদ্ভাবন, জানিয়েছে নোবেল কমিটি। সেই কারণেই তাঁরা এবছরের নোবেল পুরস্কার প্রাপক।
কোয়ান্টাম ফিজিক্সের যেটুকু প্রয়োগের সম্ভাবনা বিজ্ঞান গবেষণার চৌহদ্দিকে বিস্তৃত করেছিল, ওই তিনজনের গবেষণা সেই ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করবে বলে নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। ওই গবেষণার সুফল হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার, কোয়ান্টাম নেটওয়ার্ক ও সর্বোপরি কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন নিয়েও কাজ করার নতুন পরিছি তৈরি হবে। এই যাবতীয় প্রয়ায়েক যুক্তিগত ভিত্তি একটাই তথ্যানুসন্ধানের আগ্রহকে বেষ্টণ করে আছে। আর তা হল কোয়ান্টাম দশায় দুটি পৃথক জায়গায় থাকা কণা কীভাবে একইরকম আচরণ করে। আর সেটিই হল এনট্যাংগেলড স্টেট।
তিনজন বিজ্ঞানীর গবেষণা ও নিরীক্ষার সামগ্রিক সারবস্তুটি কোয়ান্টাম তত্বের নতুন দিক খুলে দেওযার পাশাপাশি পরবর্তী গবেষণার সম্ভাবনাকে নিশ্চিন্ত করেছে। নোবেল পুরস্কার প্রাপক অ্যালেন অ্যাসপেক্ট ফরাসি বিজ্ঞানী। অ্যান্টন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার বাসিন্দা আর জন ক্লজার মার্কিন যক্তরাষ্ট্রের। এদের মধ্যে সব থেকে প্রবীন, আশি বছরের জন ক্লাজার তাঁর নিজস্ব গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান জে এফ ক্লাজার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে যুক্ত। সাতাত্তর বছরের অ্যালেন অ্যাসপেক্ট ইউনিভার্সিটি প্যারিস-স্যাকলের অধ্যাপক। আর পঁচাত্তরে পা দেওয়া অ্যান্টন জেলিঙ্গার ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনার অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন শিক্ষক হিসাবে ছাত্র-গবেষক মহলে পরিচিত।