ভারতীয় বুদ্ধিজীবীদের দেশবিরোধী বলা সমাজতাত্ত্বিক সালভাতোর বাবোনেজ আসলে বেতনভুক প্রচারক। বিদেশি প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায়। গত শনিবার ইন্ডিয়া টুডের এক আলোচনাসভায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সমীক্ষা প্রসঙ্গে বাবোনেজ বলেন, সংগঠনগুলি ১৫০টি দেশের উপর গণতন্ত্রের সংজ্ঞা নিরূপণ করে। যাদের মধ্যে অধিকাংশেরই ভারত সম্পর্কে কোনও উৎসাহ নেই। মূল সমস্যা হচ্ছে এই যে, ব়্যাঙ্কিং তৈরি হয় সমীক্ষার উপর নির্ভর করে। ফলে, সকলের ক্ষেত্রেই একই পদ্ধতি ব্যবহার হয়।
তিনি আরও বলেন, সমীক্ষা হয় বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদ ছাড়াও বিদেশি পড়ুয়াদের কাছ থেকে মতামত নেয়। সে কারণে এই ধরনের সমীক্ষাগুলি একপেশে হয়। তবে সংস্থাগুলি ভারত-বিরোধী বলেই এরকম হয় তা নয়। বাবোনেজ বলেন, কিছু মনে করবেন না, ভারতের বুদ্ধিজীবী শ্রেণিই হল ভারত বিরোধী। ব্যক্তি হিসেবে নয়, শ্রেণিগতভাবে, মত বাবোনেজের।
আরও পড়ুন: Demonitisation in India: নোটবন্দির জেরে ছয় বছর পরেও সমস্যায় দেশের অর্থনীতি, তোপ বিরোধীদের
তিনি আরও বলেন, ওরা নিশ্চিতভাবেই বিজেপি-বিরোধী এবং মোদি-বিরোধী। কিন্তু, কল্পনা করে দেখুন তো যদি বছর দুয়েকের মধ্যে ইউপিএ ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা কি রাম মন্দির ভেঙে দেবে? যে ব়্যাঙ্কিংয়ের বিষয়ে কথা হচ্ছে, সেখানে যে যে নীতির সমালোচনা হচ্ছে, তা কি তারা পূরণ করবে? তারা কি ইউএপিএ তুলে দেবে? সুতরাং, যে নীতিতে সমালোচনা হয়, সেগুলি অপরিবর্তিতই থেকে যায়। আবার তারাও যদি একই কাজ করে, সেই একই নিন্দার মুখে পড়বে।
সুতরাং, অস্ট্রেলীয় ও মার্কিন নাগরিক এই অধ্যাপকের নিজের কথাতেই স্পষ্ট যে, ভারতের বুদ্ধিজীবীদের কাঠগড়ায় তুলেও তিনি আদতে বেতনভুক প্রচারক ছাড়া কিছু নয়। যে কারণে এই দুই দেশেরই আইনে তাঁকে বেতনভুক বিদেশি এজেন্ট বলে নথিভুক্ত করা আছে। এবং তিনি নিজেই গিয়ে তাঁর নাম নথিভুক্ত করেছেন। যার অর্থ বেতনের বিনিময়ে তিনি এদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন কিছুদিনের জন্য। যে কাজের মূল লক্ষ্যই ছিল মার্কিন সহ বিদেশি রাষ্ট্রে ভারতের হয়ে গুণগান করা, ভালো ভালো বিষয়কে সেদেশে তুলে ধরা।