নয়াদিল্লি: আবারও করোনা (Corona) আতঙ্কে ভুগছে গোটা বিশ্ব। চীনের থেকে ক্রমেই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। ভারত সরকারও আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। এই আবহে সুখবর নিয়ে এল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) এক গবেষণা। ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ (Booster Dose) করোনার ক্ষেত্রে নিরাপদ। এটি কোভিড সংক্রমণ কমাতে বেশ কার্যকর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার শুক্রবার সংসদে আইসিএমআর-এর (ICMR) ওই গবেষণার কথা জানিয়েছে। এর আগে কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) কতটা কার্যকর, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। এই গবেষণার ফলে সেইসব প্রশ্নের অবসান ঘটল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
সংসদে পাওয়ার জানান, আইসিএমআর (ICMR) ২০২১ সালের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে কোভ্যাক্সিন (Covaxin) এবং কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চালায়। তাতে দেখা গিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে কোভিশিল্ডের (Covishield) কার্যকারিতা ৮৫ শতাংশ এবং কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তা ৭১ শতাংশ।
আরও পড়ুন:Akhilesh Yadav: একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা, দুর্ঘটনার কবলে অখিলেশ যাদবের কনভয়
এদিকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ নিয়ে দেশে আলোচনা শুরু হলেও ভারত এখনও প্রথম বুস্টার ডোজের প্রয়োগে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ২৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক কোভিড প্রতিরোধক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন দেশে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের তরফ থেকে বারবারই বুস্টার ডোজের (Booster Dose) উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় সরকার যতই ঢাকঢোল পেটাক না কেন, করোনা প্রতিশোধকের দ্বিতীয় ডোজও বহু মানুষ এখনও নেননি। বুস্টার ডোজ (Booster Dose) তো কোন ছাড়। এই আবহে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অফ ইমিউনাইজেশন (NTAGI) -এর এক সদস্য বলেন, ‘টেকনিক্যাল গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে দ্বিতীয় বুস্টার দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁরা কোনও সুপারিশ করার আগে সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য খতিয়ে দেখবেন।’
এদিকে আইসিএমআর (ICMR) করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর গত ৬ মাস ধরে আরও একটি গবেষণা চালিয়েছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বেশ কিছু তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ডোজ দেওয়ার পর ৬ মাস পর্যন্ত তার প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে। এরপর যদি কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়, তা অনেকটাই নিরাপদ এবং কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে। একই কথা প্রযোজ্য কোভিশিল্ডের (Covishield) ক্ষেত্রেও। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার সংসদে একথা জানিয়েই ফের দেশবাসীকে যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়ার পরামর্শ দেন।