খড়গপুর: ফের ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident), চাকা ভেঙে বেলাইন মালগাড়ি (Goods Train)। মঙ্গলবার সাতসকালে খড়গপুর (Kharagpur) নিমপুরা আরামবাটির কাছে একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলের আধিকারিকরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লুপ লাইনে থাকা মালগাড়িটির পিছনের বগির চাকা খুলে বেরিয়ে গিয়েছে। ওই লাইনে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। ফলে রেলওয়ে ট্র্যাকে ট্রেন চলাচলে কোনরকম প্রভাব পড়েনি এই দুর্ঘটনায়। তবে লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ঘটা এই দুর্ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ক্রসিং লেভেল। দীর্ঘ সময় ক্রসিং বন্ধ থাকায়, আটকে পড়ে সাধারণ মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে দেখে ঘুর পথই ধরেন একাধিক মানুষ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের এক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে রাখা হচ্ছে রেল আধিকারিকদের তরফে। রেলওয়ে ট্র্যাক ও সিগন্যালিং সিস্টেমও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। রেলওয়ে ইয়ার্ডের মধ্যে কম গতিতে থাকার কারণে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন:Coromandel Express Accident | করমণ্ডল দুর্ঘটনার সিগন্যাল জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পলাতক !
উল্লেখ্য, গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসও। দুর্ঘটনার অভিঘাতে একটি মালগাড়ির কামরার উপরে উঠে গিয়েছিল করমণ্ডলের ইঞ্জিন। ঘটনার জেরে ২৯২ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে, কত মানুষ আহত তার কোনও হিসেব নেই। সেই ভয়ঙ্কর বিভীষিকার রেশ এখনও কাটছে না, তার মধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এখনও পর্যন্ত বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের মাস্টার সহ পাঁচজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই দুর্ঘটনার পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত ছিল কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপাতত সিল করা হয়েছে বাহানাগা বাজার স্টেশন। ফলে এই স্টেশনের উপর দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করলেও আপাতত কোনও ট্রেন এই অভিশপ্ত স্টেশনে থামছে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে রেল। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিলড থাকবে বাহানাগা বাজার স্টেশনটি। কেন করমণ্ডসল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে গেল, সেই বিষয়টির আসল কারণ উত্থাপনে সিগন্যাল সিস্টেম ভালো করে খতিয়ে দেখছে সিবিআই।