বারাসত: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। কিন্তু বাস্তবে ছবিটা আলাদা। বারাসত (Barasat) এক নম্বর ব্লকে নির্বাচনী (Vote) প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা নেই। সিপিআইএমের (CPM ) তরফ থেকে বিডিও (BDO) কে জানতে চাওয়া হলে বিডিও জানায় রাজ্য পুলিশ দিয়েই এই এলাকায় ভোট পরিচালিত হবে। অবশেষে সিপিএম জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম সভার প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে বারাসতে জেলাশাসক (DM) দফতরের সামনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হলে কেউ ভোট দিতে পারবেন না। ভোট লুট হবে।
অভিযোগ, ইতিমধ্যেই শাসক দলের তরফ থেকে এলাকায় বিরোধীদের হুমকি দেওয়া শুরু করেছে, যা আগামীকাল আরও চরম আকার নেবে। এলাকায় একাধিক বুথ স্পর্শকাতর হওয়া সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে না। সেই প্রশ্ন তুলছে সিপিএম। ছোট জাগুলিতা পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএমের কনিষ্ঠতম প্রার্থী মৌসুমি সরকার জানান, ২০১৮ সালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে এবছরও। ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের চিত্রটা অন্তত সেরকমই। শাসক দলের তরফ থেকে বিরোধীদের হুমকি হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু হয়েছে। ভয়ে কেউ যেন ভোট কেন্দ্রে না যেতে পারে তার বন্দোবস্ত চলছে। বিডিওকে বিষয়টি জানালে বিডিও জেলাশাসক দফতরে জানাতে বলে। সেই কারণেই তাঁরা এই বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছেন। একই দাবি গ্রামসভার প্রার্থীদেরও। পুলিশ দিয়ে ভোট হলে আশঙ্কা থেকেই যাবে। পুলিশ রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করবে অর্থাৎ শাসক দল যেমনটা চাইবে তেমন চলবে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় বিরোধীরা। তাতে মানুষে যাকে ভোট দেবে তাই মাথা পেতে নেবে। কিন্তু শাসক তৃণমূল যে পরিস্থিতি তৈরি করছে তাতে ২০১৮ সালের ছবি আবারও উঠে আসবে আগামীকাল।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023| Bangaon| পঞ্চায়েতের ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে বনগাঁয়ে চলল গুলি, মৃত ১, আহত ১
তবে জেলাশাসক দফতর থেকে জানানো হয়েছে তারা কোন ভাবেই ফোর্স কোথায় কী যাবে তা ঠিক করতে পারবে না, সম্পূর্নটা আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়িত করবে। সিপিএমের অভিযোগ, ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে মানুষের ভোটের সঠিক প্রতিফলন হবে না।