আজ ওয়ার্ল্ড ভয়েস ডে। কণ্ঠস্বরের আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই প্রত্যেক বছর ১৬ই এপ্রিল বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি। কণ্ঠস্বর, মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন ও আবেগ আদান প্রদানের অন্যতম মাধ্যম। তাই কণ্ঠস্বরের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হলে বলতেই হবে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন থাকা উচিত। কী করলে কণ্ঠস্বরের ক্ষতি হতে পারে আর কী করলে তা ভাল থাকতে পারে তা জেনে রাখা উচিত। তবে সব থেকে আগে যা জানা দরকার সেটা হল কণ্ঠস্বরের সমস্যা হল কী করে তা বুঝবেন।
কণ্ঠস্বর নিয়ে এই সমস্যাগুলো থাকলে সজাগ ও সচেতন হতে হবে। যেমন-
- গলার আওয়াজ কিঞ্চিত ফেঁসফেঁসে হয়ে যাওয়া বা কর্কশ হয়ে যাওয়া।
- গান করার অভ্যেস থাকলে গান গাইবার সময় ওপরের স্বরগুলি উচ্চারণের সময় সমস্যা হওয়া।
- আচমকা গলার আওয়াজে পরিবর্তন হওয়া কিংবা গলার আওয়াজ আরও ডিপ হয়ে যাওয়া।
- সারাক্ষণ গলায় ব্যথা বা চাপ অনুভব করা।
- প্রায়শই গলা খাকড়ানো কিংবা গলা পরিষ্কার করার চেষ্টা।
- তবে সামান্য থেকে জটিল চিকিত্সা পরিস্থিতির কারণে একাধিক কারণে কণ্ঠস্বরের সমস্যা হতে পারে।
- এই সব ক্ষেত্রে সামান্য ওষুধপত্র খেয়ে, স্পিচ অ্যান্ড স্বালো থেরাপি বা সার্জিক্যালি কণ্ঠস্বরের সমস্যা সারিয়ে তোলা যায়।
কণ্ঠস্বরের যত্ন নিন এইভাবে
- নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।
- শারীরিক কসরতের সময় প্রচুর পরিমাণে জল খান।
- ক্যাফেনযুক্ত পানীয় বা মদ্যপান করলে চেষ্টা করুণ প্রচুর পরিমাণে জল খেয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা।
- মাঝেমধ্যেগলাকে বিশ্রাম দিন- পারলে গোটা একটা দিন গলাকে বিশ্রাম দিন।
সঠিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
- ধুমপান এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুণ, বিশেষ করে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং এড়িয়ে যান। ধুমপানে ভোকাল ফোল্ডে ইরিটেশন হয়। এছাড়া যারা বেশি মাত্রায় ধুমপান করে তাদের মধ্যে এই ভোকাল ফোল্ডের ক্যানসার আরও বেশি দেখা যায়।
- মশলাদার খাবার এড়িয়ে যান। মশলাদার খাবার খেলে পেটে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে এবং এই অ্যাসিড গলা, এসোফেগাসে চলে যায়, এমনকি বুক জ্বালা বা জিইআরডি হতে পারে।
- খাবারে প্রচুর পরিমাণে গোটা শস্য, ফল, শাক সবজি রাখুন নিত্যদিনের খাবারে। এই সব খাবারে ভিটামিন এ, ই ও সি থাকে। এই সব উপাদান গলার ভেতরের মিউকাস মেমব্রেনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
- চট করে ঠাণ্ডা বা ফ্ল হলে বার বার হাত ধুয়ে নিন।
- প্রয়োজনে প্রচুর বিশ্রাম নিন। শারীরিক ক্লান্তির ছাপ পড়ে কণ্ঠস্বরের ওপরও।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করুণ। শরীরচর্চার ফলে স্ট্যামিনা ও মাসেল টোন বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের পশ্চার ঠিক থাকে ভাল হয় নিশ্বাস প্রশ্বাস। এই সব বিষয়গুলি গলার আওয়াজে ভাল রাখতে প্রয়োজনীয়।
- এছাড়া একটানা বুক জ্বালা বা জিইআরডি থাকলে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলুন নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় বদল করুণ। আর প্রয়োজন পড়লে সঠিক ওষুধপত্র খান যাতে এই সব সমস্যা না হয়।
(ছবি সৌ: world voice day.org)