লখনউ: অতি সম্প্রতি বিহারের (Bihar) শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্র শেখর (Chandra Shekhar) বলেছিলেন, সামাজিক বৈষম্য এবং ঘৃণা ছড়ায় তুলসীদাস (Tulsidas) রচিত ‘রামচরিতমানস’ (Ramcharitmanas)। এবার অনেকটা একই দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সমাজবাদী পার্টির (SP) বিধানসভার সদস্য (MLC) স্বামী প্রসাদ মৌর্য (Swami Prasad Maurya)। তিনি বললেন, রামচরিতমানসের কিছু কিছু স্তবক বর্ণবাদী এবং পিছিয়ে পড়া এবং দলিতদের (Dalit) প্রতি অবমাননাকর। মৌর্য এও বলেছেন, সেইসব স্তবক বাদ দেওয়া উচিত।
প্রাচীন এই গ্রন্থটিকে কি নিষিদ্ধ করা উচিত, এই প্রশ্নে সমাজবাদী পার্টির নেতা বলেন, অবশ্যই। এর রামচরিতমানসের কিছু কিছু অংশ পিছিয়ে পড়া, দলিত এবং মহিলাদের ভাবাবেগে আঘাত করে।
আরও পড়ুন: Netaji Subhash: নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে ‘আতঙ্কবাদী’ বলে দিলেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক!
গত সপ্তাহে বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর রামচরিতমানস নিয়ে মন্তব্যের জেরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিজেপির (BJP) তরফে রাজ্যের ৩৮টি জেলাতেই তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবার সপা নেতার মন্তব্যেও ঝড় উঠতে চলেছে। প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ক্যাবিনেট সদস্য ছিলেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) দলে যোগ দেন।
একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৌর্য বলেন, তুলসীদাস দলিত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষকে গালাগাল করেছেন। সরকারের যদি একটু নীতিজ্ঞান এবং বিবেক থাকে তাহলে ওই ধরনের স্তবক বাদ দেওয়া উচিত।
১৫১১ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন সন্ত তুলসীদাস। তাঁর আসল নাম রামবোলা দুবে (Rambola Dubey)। রামানন্দি বৈষ্ণব হিন্দু সন্ন্যাসী এবং কবি হিসেবে খ্যাতিলাভ করেন তিনি। সংস্কৃত এবং অওয়ধি ভাষায় রচনা করতেন তুলসীদাস। তাঁর লেখা গ্রন্থের মধ্যে সবথেকে বিখ্যাত ‘রামচরিতমানস’ এবং ‘হনুমান চালিসা’। জীবনের বেশিরভাগ সময়টা বারাণসী এবং অযোধ্যায় কাটিয়েছিলেন তুলসীদাস। গঙ্গার তুলসী ঘাট তাঁরই নামে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, মহর্ষি বাল্মীকির পুনর্জন্মই হলেন তুলসীদাস। ১১২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর।