লখনউ: আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে সম্ভবত শেষবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের পথে হাঁটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ এবারের সম্প্রসারণে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া নিয়ে তিন বিজেপি নেতার নাম চর্চায় উঠে আসছে৷ তাঁরা হলেন জিতিন প্রসাদ, লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ি এবং এ কে শর্মা৷ রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, জাতপাতের অঙ্কে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে ওই তিনজনই৷ শেষপর্যন্ত ওই তিনটে নাম চূড়ান্ত হলে বুঝতে হবে সব জাতের মানুষদের ঠাঁই দিয়ে মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য রক্ষা করল যোগী সরকার৷
গো-বলয়ের রাজ্যগুলিতে রাজনীতি চলে জাতপাতের অঙ্কে৷ আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ যা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেমিফাইনাল ম্যাচ বলছে রাজনৈতিক মহল৷ এই সেমিফাইনাল ম্যাচ জিততে ভোটের আগে সব জাত-পাতের মানুষদের তুষ্ট করতে চায় বিজেপি৷ তাই ব্রাক্ষণ, নিশাদ সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার ব্যাপারে নৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল৷
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, প্রবীণ নেতা সুনীল বনসল এবং স্বতন্ত্র দেব সিং৷ সাড়ে তিনঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে ওই বৈঠক৷ সূত্রের খবর, সেখানেই ঠিক হয়েছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে হবে৷ উত্তরপ্রদেশে মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন ৬০ জন৷ বর্তমানে মন্ত্রী আছেন ৫৩ জন৷ অর্থাৎ এখনও আরও ৭ জনের কাছে সুযোগ আগে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট বিজেপিতে! লখনউয়ে জল্পনা
সেই সূত্র ধরে উঠে আসছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ, ব্রাক্ষণ নেতা লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ি এবং প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এ কে শর্মার নাম৷ আলোচনা হয়েছে নিশাদ সম্প্রদায়ের নেতা সঞ্জয় নিশাদের নাম নিয়েও৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় তারা বাদ পড়ায় বিজেপির উপর গোঁসা করেছিলেন সঞ্জয় নিশাদ৷ তাঁর ক্ষোভ এবার পুষিয়ে দিতে চায় বিজেপি৷ এছাড়া পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷