শ্রীনগর: স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করছে গোটা দেশ। এতদিন পরেও জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে সক্রিয় রয়েছে জঙ্গিরা। সাত দশকের বেশি সময় ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে জঙ্গিদের মোকাবিলা করে চলেছে। তথাপি জঙ্গিদের দৌরাত্ম না কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ফারুক আবদুল্লা।
গত কয়েক সপ্তাহে কাশ্মীরের মাটিতে আক্রান্ত হতে হয়েছে রাজনীতিবিদদের। যাদের মধ্যে বিভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য নাশকতার শিকার হয়েছেন। এক বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান সস্ত্রীক প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন- পদ্ম শিবিরে ধাক্কা দিয়ে ফের তৃণমূলে যোগ বিজেপি বিধায়কের
এই সকল ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। মঙ্গলবার শ্রীনগরে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এখনও জঙ্গিবাদ প্রত্যক্ষ করছি। ভবিষ্যতে কী হবে কিছুই কারও জানা নেই। এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত সদস্যদের জন্য কড়া নিরাপত্তার প্রয়োজন। কারণ জঙ্গিদের প্রথম লক্ষ্যই হচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।”
পঞ্চায়েত সদস্য না হলেও নিজেকে জঙ্গিদের নিশানা থেকে দূরে রাখছেন না ফারুক আবদুল্লা। তাঁর মতে, “আমরা, রাজনীতিবিদেরা এখন জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে গিয়েছি। যারাই এখন দেশের পক্ষে দাঁড়াবে তাঁদেরকেই নিশানা করবে জঙ্গিরা।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “ভারত একটা বৈচিত্রময় দেশ। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ভারতের বৈশিষ্ট। এটা আমাদের রক্ষা করতেই হবে।”
আরও পড়ুন- তালিবান-আফগান গতিবিধি নজরে রাখতে জয়শঙ্কর-দোভালকে নির্দেশ মোদির
২০১৬ সালের শেষের দিকে নোট বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে কাশ্মীর থেকে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের মাধ্যমেও একই দাবি করে দিল্লি। যদিও তা বাস্তবায়িত হয়নি। করোনার কারণে খানিক সময় বন্ধ থাকলেও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গিরা। যার কারণে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় নীতি নিয়ে।
অন্যদিকে, কাশ্মীরে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন ওই রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। যার নেতৃত্ব রয়েছেন স্বয়ং ফারুক আবদুল্লা। তাঁর পরের আসনেই রয়েছেন ওই রাজ্যের ওপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। যিনি দিন কয়েক আগে একটিসভায় বলেন, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখে শিক্ষা নিক দিল্লি। সেখানে যেমন তালিবান প্রশাসনের দখল নিয়েছে। তেমনই কাশ্মীরিদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।”