কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র তাই ছড়িয়ে রয়েছে একের পর এক মন্দির (Temple)। যার মধ্যে অনেক মন্দিরই খুব জাগ্রত। দিনের পর দিন ভক্তরা সেখান থেকে উপকার পেয়েছেন। স্থানীয় অঞ্চলে গিয়ে একটু কান পাতলেই সেসব উপকার পাওয়ার অলৌকিক কাহিনি শোনা যায়। এমনই এক জাগ্রত মন্দির রয়েছে হুগলি জেলার জনাইয়ে। নাম বদ্যি মাতা মন্দির। আজ থেকে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই মন্দির।
জানা যায়, এই মন্দিরের দেবী ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ করেন। কোনও রোগ-ব্যাধি হলে আজও বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে আসেন। দেবীর কাছে প্রার্থনা জানান। দেবী নাকি সেই সব ভক্তদের স্বপ্নাদেশ দেন। সেই স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী, ওষুধ খেলে ভক্তদের যাবতীয় রোগ-ব্যাধি সেরে যায়। গত ২০০ বছর ধরেই এমনটা চলছে।
আরও পড়ুন:Offbeat Sea Beach । নতুন উইক এন্ড ডেস্টিনেশনের সন্ধান, পকেটে ২ হাজার টাকা থাকলেই হবে
দেবীর এখানে দক্ষিণাকালীর রূপ। ভক্তদের বিশ্বাস, আজও দেবী এখানে নিত্যরাতে পাশের পুকুরে স্নান করেন। সেই জন্য এই মন্দিরে ভক্তরা সচরাচর রাত্রিবাস করেন না। তবে, অমাবস্যায় মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। অমাবস্যার দিনগুলোয় দেবী তাঁদের মন্দিরে রাত্রিবাসের ছাড়পত্র দিয়েছেন। এখানকার মন্দিরের পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি। গোটা মন্দির চত্বর গাছগাছালিতে ঘেরা। নির্দিষ্ট দিনে এই মন্দিরে ভক্তদের ভোগের প্রসাদও খাওয়ানো হয়।
কীভাবে জাবেন? হুগলি জেলার চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকে মধ্যে পড়ে জনাই। সেই জনাইয়ের বাকসা গ্রামে রয়েছে এই প্রাচীন কালী মন্দির। শহর কলকাতা থেকে সড়কপথে বাকসা গ্রামের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। বাকসা গ্রামের কাছের রেলস্টেশন হল বর্ধমান কর্ড লাইনের জনাই রোড। অটোয় চেপে জনাই রোড স্টেশন থেকে যাওয়া যায় বাকসা বদ্যিমাতা মন্দিরে। এই মন্দিরের আশপাশে কোনও পুজোর সামগ্রী পাওয়া যায় না। ভক্তরা সেসব জনাই থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে যান।