রচনা: পুজোর পাঁচটা দিন কীভাবে কাটাবে?
সোলাঙ্কি: পুজোর সেরকম কোনও প্ল্যানিং নেই। পরিবারের লোকের সঙ্গেই কাটাব। আগে পুজোর সময় বেড়াতে যেতাম। তবে এখন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটাতে চাই। বাবা-মা বেড়াতে যাবে। আমিও যেতাম ছোট বেলায়। এখন আর না।
আচ্ছা তুমি এই মাত্র বললে ছোটবেলায় তুমি পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যেতে। সেই প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন মনে পড়ল, ছোট বেলার পুজোর সঙ্গে এখনকার পুজোর পার্থক্যটা তোমার কাছে কেমন?
সোলাঙ্কি: ছোটবেলায় একটা অতিরিক্ত আনন্দ থাকত, সেটা হল সারা বছরে এটাই সবচেয়ে লম্বা ছুটি। তখন এই লম্বা ছুটিটার জন্য একটা অপেক্ষা থাকে। সেই সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে বেরোনোর থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতেই একটা এক্সট্রা বিষয় ছিল। এক্সট্রা পকেট মানি।
রচনা: পুজোর মূল আকর্ষণ কী তোমার জন্য?
সোলাঙ্কি: পুজো আসার আগে শহর জুড়ে যে রোশনাই লাগে, সেই আলো মাখা শহরের দৃশ্যতা আমার কাজে পুজোর মূল আকর্ষণ। আমার খুব ভালো লাগে যখন শহরটা পুরোটা সেজে ওঠে। বিশেষ করে রাস্তার ধরে যখন এল লাগানো হয় , সেসব দেখে আমার মন এমনই ভালো হয়ে যায়।
রচনা: তাহলে কী সোলাঙ্কি পুজোর গন্ধ পেয়ে গেছে?
সোলাঙ্কি: এখনই নয়। কারণ আমি এখন কলকাতায় নেই। আমি এখন মুম্বই আছি। তবে আমি কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও পুজো কাটাই না। বলতে পারো এটা আমার নিজস্ব উপলব্ধি যে দুর্গা পুজোয় কলকাতা ছাড়া অন্য কোথাও কাটানোই যায় না। দুর্গাপুজো মানেই কলকাতা।
রচনা: আচ্ছা করোনার সময়ের পুজো আর এখনকার পুজোর মধ্যে পার্থক্যটা কতটা?
সোলাঙ্কি: দেখো এই বিষয়ে আমি খুব একটা পার্থক্য দেখি না। কারণ করোনার সময়ও মানুষ হুড়মুড়ায়ে ঠাকুর দেখতে বেড়িয়ে ছিল। আমি ভীষণ আতঙ্কে থাকতাম। কিন্তু দেখো আমরা সব ঠিক পার করে গেলাম। আর আমার মনে হয় এবার আমরা ভালো করে এবং বিশালাকার পুজো কাটাব।