Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeScrollময়দান - এক ফুটবল প্রেমকথা
Maidaan Movie

ময়দান – এক ফুটবল প্রেমকথা

পর্দায় ময়দান, কলকাতার ময়দান ফিরুক স্বমহিমায়

Follow Us :

প্রীতম বিশ্বাস, কলকাতা:  তাজ বেঙ্গলের কফি শপে বসে বছর ১৫ আগে কথা হচ্ছিল পরিচালক রবি ওঝার (Director Ravi Ojha) সঙ্গে। সেদিন একটা কথা উনি বলেছিলেন যে সফল সিনেমা কতগুলো মুহুর্ত বা মোমেন্টস তৈরি করে, সেই ছবির কথা ভাবলেই সেসব মুহূর্ত স্মৃতিতে ঘা মারে। ভেবে দেখেছিলাম কথাটা ১০০% ঠিক। শোলে বললেই মনে পড়বে গব্বর সিংয়ের ডেরায় তিন শাগরেদকে গুলি করার দৃশ্য বা দিলওয়ালে দুলহানিয়ার সেই সর্ষে ক্ষেত। ময়দান ছবিটির আলোচনাতেও এমনই কিছু মোমেন্টস মাথায় আসে। কোচ রহিম সাহেবের (Football Coach Rahim Saab ) খেলোয়ার খোঁজা, চুনী পিকে বলরামের উঠে আসা, রহিমের ভূমিকায় অজয় দেবগানের স্ত্রীর ভূমিকায় প্রিয়ামনির কিছু অভিব্যক্তি, এবং অবশ্যই বাংলার রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) নানা মুড চেঞ্জ। এই ছবি রুদ্রনীলকে সাত পাঁচের বাইরে গিয়ে এক্কেবারে ১২তে নিয়ে গেছে। ১২ মানে আপনি এক ডজন ভাবতে পারেন বা পরপর দুই ছক্কা।

পরিচালক অমিত শর্মা বা প্রযোজক বনি কাপুর (Producer Boney Kapoor) এই ছবির পিছনে ঘাম ঝরিয়েছেন অনেক। করোনার কারণে শুটিং পিছিয়েছে, বানানো সেট ভেঙে ফেলতে হয়েছে, একটা দীর্ঘ শিডিউলে কনটিনুইটি বজায় রাখতে হয়েছে। আজকের ফুটবল সম্প্রচারে কোন ফুটবলার ৯০ মিনিটে কত কিলোমিটার দৌড়িয়েছে তা টিভির পর্দায় দেখায়, ফিল্ম প্রোডাকশনে এমন কিছু থাকলে পরিচালক, প্রযোজক ১৮০ মিনিটের সিনেমা বানাতে বোধহয় ১৮০ কিলোমিটার দৌড়িয়েছেন। ছোট ছোট ডিটেইলিং থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যানভাস বড় করার মুনশিয়ানা এই ছবির বড় সম্পদ।

ছবিতে চুনী পি কে বলরাম অরুন ঘোষের চরিত্রাভিনেতাদের এক্টিংয়ের থেকে এক্ট করা জরুরি ছিল। তাদের সে কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে ফয়ডর ল্যাসের স্পোর্টস ক্যামেরা। একটা মুভমেন্ট থেকে একটা বিগ ক্লোজ আপ তুলে নেওয়া সহজ কাজ নয়, কম্পোজিটিংয়ের ভূমিকাও ছিল এক্ষেত্রে। ছবি দেখতে গিয়ে চাক দে ইন্ডিয়ার শুটিংয়ের থেকে এই এক কদম এগিয়ে যাওয়াটা এক ইতিবাচক অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুন: বুদ্ধদেবের ‘বাবলি’ হয়ে হাজির হলেন শুভশ্রী

অবশ্যই আলাদা করে বলতে হয় অজয় দেবগানের কথা। নিজেকে নানা ভাঙ্গা গড়ায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন রহিম সাহেবের অন্দরে, অন্তরে। হাঁটাচলায় কখনও আত্মবিশ্বাস, কখনও পরাজয়ের হাতছানি। ফুটবলের ময়দান যেমন হয় আর কি। কিংবা একটা ম্যাচকে যেভাবে কয়েকটা স্পেলে ভেঙে স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হয়, সেভাবেই এগিয়েছেন অজয়। এবং সে কাজে তিনি সফল।

অনেকেই জানেন না যে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি মিস করা ফুটবলার আর কেউ নন স্বয়ং লিওনেল মেসি। তেমনি ছবিতে কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে। বিশেষ করে ১৯৬২তে রুদ্রনীলের চরিত্রের মুখে ‘ ফাটাফাটি ‘ বেমানান। ৯০ মিনিটের ম্যাচ আরো ১০ মিনিট খেলতে যেমন ক্লান্ত লাগে, তেমনি এই ছবি দৈর্ঘ্যে অন্তত মিনিট ১৫ কমতে পারত।

ইস্ট বেঙ্গলের (East Bengal) সুপার কাপ জয়, মোহামেডানের আই লিগ, মোহনবাগান (Mohun Bagan) ডুরান্ড জিতে আই এস এল জয়ের দোরগোড়ায়। ফেলুদার কথা একটু পাল্টে কোথাও কি পিকে চুনীকে বলছেন ” ভালো লাগছে বেশ পার্টনার।” পর্দায় ময়দান, কলকাতার ময়দান ফিরুক স্বমহিমায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular