কলকাতা: রাজ্যকে পর্যাপ্ত সার (Fertiliser) দিচ্ছে না কেন্দ্র (Central Government)। এই পরিস্থিতিতে আলু সহ রবি শস্য চাষে কীভাবে চাষীদের (Farmer) পর্যাপ্ত সারের যোগান দেওয়া যাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন (Nabanna)। পয়লা নভেম্বর বরাদ্দ মতো সার দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই চিঠিতে স্পষ্টভাষায় বলা হয়েছিল, গত অগাস্ট মাসে আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাকে ৫ লক্ষ মেট্রিক টন এনপিকে সার দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্র। দেওয়ার আশ্বাস দিলেও নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার কেন্দ্র পাঠায়নি। কেবল অক্টোবর মাসে তাদের ৩ লক্ষ মেট্রিক টন সার পাঠানোর কথা ছিল। রাজ্যে শুধুমাত্র আলু চাষের জন্য ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন সারের চাহিদা রয়েছে।
সারের যোগান ও ঘাটতির মধ্যে এই বিপুল ফারাক স্বত্বেও কৃষকদের সমস্যা কম করতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলার সরকার। রবি মরসুমের আগে চলতি মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ করার জন্য রাজ্য সরকার সব সার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বৃহস্পতিবার নবান্নে বিভিন্ন সার উৎপাদনকারী সংস্থা ও জেলার কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে সারের যোগান এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভার্চুয়ালি পর্যালোচনা বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সেখানে চলতি মাসে যে ৮৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ১০:২৬:২৬ এনপিকে সার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত রাজ্যে বর্তমানে মজুত সারের পরিমান ৪৪ হাজার ৭৪৪ ম্যাট্রিক টন । এছাড়াও সার বিক্রয় কেন্দ্রগুলি যেন চাষীদের কাছ থেকে কোনওভাবেই সারের দাম সর্বাধিক খুচরো মূল্যের বেশি না নেয় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে সব জেলার কৃষি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ই পস মেশিনে বাধ্যতামূলকভাবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে চাষীদের কাছে সার বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে। সার বিক্রির সময় চাষীদের অতিরিক্ত কিছু বিক্রি করা যাবে না বলে ব্লকের কৃষি আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে তাদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি জানার আবেদন ফের খারিজ
এনপিকে সারের বিকল্প যে সকল সার রয়েছে, বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে তার তালিকা ও দাম বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ্যে লিখে রাখার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য রাজ্যে বর্তমানে রবি চাষে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির জন্য পাঁচ লক্ষ এক হাজার মেট্রিক টন এনপিকে সারের প্রয়োজন হয়। সার নিয়ে কালোবাজারি রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও খবর দেখুন