কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali ) তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদ সদস্য উত্তম সর্দারকে (Suspends Uttam Sardar ) ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড (Suspends) করা হল। শনিবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে সেচমন্ত্রী এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতা পার্থ ভৌমিক এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সন্দেশখালি নিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই উত্তমকে সাসপেন্ড করা হল।
তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল উত্তম এবং আর এক জেলা পরিষদ সদস্য শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও। আর শেখ শাহজাহান তো রয়েছেনই। কিন্তু দল শিবুর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিল না। প্রায় দেড় মাস ধরে শাহজাহান নাগালের বাইরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে শাসকদলের এই তিন নেতা জোর করে আদিবাসী মানুষের জমি দখল করে সেখানে অবৈধ ব্যবসা করে চলেছেন। চাষির জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, শুধু উত্তমকে সাসপেন্ড করে কী হবে। শাহজাহান, শিবুর কী হবে। সাধারণ মানুষের দাবি, এটা লোক দেখানো নাটক।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি বিরোধী দলনেতার
বিরোধীরা বলছন, এই প্রহসন মানুষ ধরে ফেলেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, উত্তম তো চুনোপুঁটি। ওকে সাসপেন্ড করে শাসকদল মূল ঘটনা আড়াল করতে চাইছে। শাহজাহানকে ধরা হচ্ছে না কেন, উত্তম, শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করছে না কেন। এতদিন ধরে ওই তিনজন সন্দেশখালিতে তাণ্ডব চালিয়ে গেলেন। আজ শুধু উত্তমকে সাসপেন্ড করে মস্করা করা হচ্ছে? বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল কাকে সাসপেন্ড করল, তাতে জনগণের কিছু যায় আসে না। ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত কিছু হবে না। এই নাটক বন্ধ করুক শাসকদল।
অন্য খবর দেখুন