কলকাতা: আবারও মোহনবাগানকে (Mohun Bagan Win) খালি হাতে ফেরাল না যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ৯০ মিনিটে খেলা শেষ করতে হল দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হত, ওড়িশা (Odisha) এফসিকে ২-০ হারাল মোহনবাগান। গোল করলেন জেসন কামিংস (Jason Cummings) এবং সাহাল আবদুল সামাদ। ত্রিমুকুট জয়ের পথে আর ঠিক একটা ম্যাচ জিততে হবে বাংলার ক্লাবকে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি নাকি এফসি গোয়া, তা জানা যাবে সোমবার। আজ মাঠে এসেছিলেন ৬২,০০৭ জন দর্শক। ২২ মিনিটে কামিংসের প্রথম গোলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তাঁরা। নিজেদের অর্ধ থেকে দিমিত্রি পেত্রাতসের জন্য দুর্দান্ত ডায়াগনাল বল রাখেন অনিরুদ্ধ থাপা। পেত্রাতস বল বাড়ান লিস্টন কোলাসোকে। তিনি আবার ফেরত দেন, এবং বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট চালান পেত্রাতস। ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিং বল ফিস্ট করতে গিয়ে বিপজ্জনক জায়গায় ফেললেন। ওঁত পেতে ছিলেন কামিংস, ছোট্ট টোকায় বল গোলে পাঠান।
কিন্তু এরপর অপেক্ষা বাড়তে থাকে। মোহনবাগানের দুই গোলে জিততে হত। অন্যদিকে ওড়িশা যতটা সম্ভব খেলাটাকে মন্থর করার চেষ্টা চালিয়েছে। প্রথমার্ধে রয় কৃষ্ণ দুটো দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বাগান ডিফেন্সের তৎপরতায় বিপদ ঘটেনি। হলুদ কার্ড দেখা দীপক টাংরিকে তুলে দ্বিতীয়ার্ধে অভিষেক সূর্যবংশীকে নামান আন্তনিও হাবাস।
আরও পড়ুন: কোহলির থেকে কী শিখতে চান গম্ভীর!
আক্রমণ শানাতে থাকে সবুজ-মেরুন কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটাই আসছিল না। ৬৫ মিনিটে দুরন্ত সুযোগ তৈরি হয়। ডান দিক থেকে বল নিয়ে উঠছিলেন মনবীর সিং। তাঁর সঙ্গে একজন ডিফেন্ডার লেগে ছিল, এদিকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে কামিংস৷ ছোট্ট একটা পাস বাড়ালেই গোল প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু বল নিয়ে দৌড়তে থাকলেন মনবীর এবং শেষে দুর্বল শট মেরে বল অমরিন্দরের হাতে জমা দিলেন। আজ জিততে না পারলে তিনিই ভিলেন হতে।
৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ ছিল, সমর্থকদের আশঙ্কা হচ্ছিল, আবার অতিরিক্ত সময়ে গড়াবে খেলা। কিন্তু ফুটবল দেবতা নিখুঁত চিত্রনাট্য লিখে রেখেছিলেন। সেই মনবীরই গোলের রাস্তা খুললেন। ৯১ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে বক্সে নিচু ক্রস রাখেন তিনি। গোল করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সাহাল। কিন্তু তার আগে হাত লাগিয়ে দেন অমরিন্দর। বল তাঁর হাতে লেগে সাহালের মুখে লেগে গোলে ঢুকে যায়। গোটা ওড়িশা দল হ্যান্ডবলের দাবি জানাতে থাকে। কিন্তু রেফারি পাত্তা দেননি।
অন্য খবর দেখুন