কলকাতা: ২০০৮ সালে যখন প্রথম আইপিএলের (IPL) নিলাম হয়, সে সময় প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যাগে ২০ কোটি টাকা ছিল। মঙ্গলবার একা মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc) ২৪.৭৫ কোটি, প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) ২০.৫০ কোটি টাকায় দল পেলেন। টুর্নামেন্ট হিসেবে আইপিএল কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার প্রমাণ এগুলোই। গতকাল আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড অর্থে স্টার্ককে কিনে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। গুজরাত টাইটান্সের (GT) সঙ্গে অজি পেসারকে নিয়ে ঐতিহাসিক দর হাঁকাহাঁকি চলেছে দুবাইয়ের কোকা-কোলা এরিনায়। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ স্টার্কের পিছনে খরচ করা কি ঠিক হল?
কলকাতা টিভি ডিজিটালের তরফে ফেসবুকে এই নিয়ে ভোটাভুটি করা হয়েছিল। পাঠক এবং দর্শকরা কিন্তু মনে করছেন, অজি পেসারের পিছনে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে ফেলেছে নাইট শিবির। সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখলেও হতাশা ধরা পড়ছে কেকেআর সমর্থকদের। অনেকেই মনে করছেন, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আগে স্টার্ক চোট পেয়ে গেলে সর্বনাশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: আইপিএলে ইতিহাস, ২৪.৭৫ কোটি টাকায় কেকেআরে স্টার্ক
Welcome back, record-breaker! 🫡 pic.twitter.com/KwSZui8GBj
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) December 19, 2023
কী হবে তা সময়ই বলবে, কিন্তু স্টার্ককে এত টাকায় কিনে কিন্তু ভুল করেনি শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) দল। এর কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, এবার এক শক্তিশালী প্রথম এগারো বানাতে চেয়েছেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। আগের মরসুমে একই পোজিশনে একই মানের একাধিক খেলোয়াড় ছিল স্কোয়াডে। কাকে চূড়ান্ত একাদশে খেলানো হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা চলেছিল টুর্নামেন্ট জুড়ে। কেউই নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। কিন্তু সেই অনিশ্চয়তা থাকবে না। মোটামুটি নির্দিষ্ট একটা দল মাঠে নামবে, সেখানে পেস বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন স্টার্ক।
দ্বিতীয়ত, সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার স্টার্ক। তাঁর বিশেষ ক্ষমতা হল বড় ম্যাচে পারফর্ম করা। গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে জ্বলে ওঠেন তিনি। নতুন বলে যেমন সুইং পান আবার ডেথ ওভারে ইয়র্কারও দিতে পারেন। নাগাড়ে ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বল করে যেতে পারেন। আর সবকিছু জিতলেও এখনও আইপিএল ট্রফি ছোঁয়া হয়নি, তাই কেকেআরের হয়ে বাড়তি তাগিদ নিয়ে খেলতে পারেন। তৃতীয়ত, ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) পিচ আগের মতো শুধু স্পিনারদের সাহায্য করে না। ইদানীং পেসারদেরও সাহায্য করছে। স্টার্কের মতো বোলাররা সামান্য সহায়তা পেলেই প্রতিপক্ষ ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে পারেন।